জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সারা দেশে চলছে ধর্মঘট। রাস্তায় নেই গণপরিবহন। সকাল থেকেই সড়কে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে । কেউ বাড়ি যাবেন, কেউ প্রয়োজনের তাগিদে বের হয়েছেন। ভোগান্তিতে পড়েছেন এ যাত্রীরা।
সকাল থেকে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা হাউজবিল্ডিং, জসিমউদ্দীন, বিমানবন্দর বাসস্ট্যান্ড, খিলক্ষেত, কুড়িল, বনানী, মহাখালীসহ বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের ভোগান্তি দেখা গেছে। সড়কে গণপরিবহনের চলাচল না করলেও অটোরিকশা, রিকশা ও প্রাইভেটকারের পাশাপাশি সরকারি বিআরটিসি বাস চলাচল করছে।
শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, ট্রাক-বাস মালিক অ্যাসোসিয়েশন এবং ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি। তাই নগরীতে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন।
রাজধানীর উত্তর বাড্ডা জেনারেল হসপিটালের সামনে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা একযাত্রী জানান, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। শুক্রবার সরকারি বন্ধ থাকলেও তার অফিস খোলা থাকে। তিনি অফিস করতে যাবেন, কিন্তু গণপরিবহণ নেই। এদিকে সড়কে চলমান অটোরিকশা থাকলেও চওড়া ভাড়া হাকাচ্ছেন।
তিনি জানান, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় গণপরিবহণ বন্ধ। কিন্তু এদিকে মানুষের দুর্ভোগ ও ভোগান্তির মধ্যেও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা সুযোগ নিতে শুরু করেছে। ২০০ টাকার ভাড়া চাইছে ৫০০ টাকা। বিপদে পড়েছি। তাই রিকশা যোগে ভেঙে ভেঙে পল্টনে যাচ্ছি।