শরীয়তপুরে যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে শতাধিক বোমার বিস্ফোরন

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুরে যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ,ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শধাধিক বোমার বিস্ফোরন । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশের ২৩ রাউন্ড ফাকা গুলি ,পরে পুলিশের উপস্থিতিতে শহরে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া ,আহত ১০ জন। শহওে চরম উত্তেজনা। ব্যবসা প্রতিষ্টান বন্ধ। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও জেলা যুবলীগের সুত্রে জানা যায়, পুর্ব নিধারিত তারিখ অনুযায়ী আজ ৫ অক্টোবর সকালে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে পৌরসভা মাকেটের ভিতরে জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির প্রেসিডিাম সদস্য সাবেক ডেপুটি স্পীকার মরহুম কর্নেল (অব:)শওকত আলীর ছেলে ডাঃ খালেদ শওকত আলী,প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির যুগ্ন -সাধারন সম্পাদক সুব্রত পাল। জেলা যুবলীগের সভাপতি এম এম জাহঙ্গীর এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ হেলাল উদ্দিন,মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এড. মুক্তা ।

শরীয়তপুর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা শুরুর আগেই পালং উত্তর বাজারস্থ শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিস এলাকায় প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর বাচ্চু বেপারীর লোকজন ও শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র ও শরীয়তপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী এ্যাড. পারভেজ রহমান জনের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় শতাধিক বোমার বিস্ফোনের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পালং মডেল থানা পুলিশ ২১ রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষন করে বলে জানিয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার নড়িয়া সার্কেল। এ সময় চর পালং এলাকার মোঃ জাকির মাদবর (৩২),মোঃ শামীম মিয়া (৩৮), আক্তার হোসেন ঢালী (৪০), চয়ন বিশ্বাস (৩১), চন্দ্রপুর এলাকার তামিম ফকির (১৮) সহ ১০ জন মারাতœক আহত হয়। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে শহরে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দেয় যুবলীগের একাংশের লোকজন। এতে করে পুরো শহরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

শরীয়তপুর পালং বাজারস্থ পৌরসভা মার্কেটের ভিতরে জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা হওয়ায় সকাল থেকে পালং মধ্য বাজার ,রাজগঞ্জব্রীজ,পালং উত্তর বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্টান বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এদিকে বাইরে উত্তেজনা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হলেও বর্ধিত সভায় শুধু ডেলিগেট দের ছাড়া অন্য কাউকে ডুকতে দেয়নি পুলিশ ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, জেলার ব্যস্ততম শহরের পৌরসভা মাকেটে দলীয় প্রোগাম করলে এমনিতেই আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়। তার উপরে আবার ধাওয়া পাল্টা দাওয়া ও বোমার বিস্ফোরন । শহর জুড়ে অস্ত্রের মহড়ায় আতংকে আমরা দোকান পাট বন্ধ করে দিয়েছি।
শরীয়তপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ও শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান জন বলেন , গত দু‘দিন ধরেই প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর বাচ্চু বেপারীর লোকজন আমার লোকজন কে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আজকে সকালে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডাঃ খালেদ শওকত আলী যখন শরীয়তপুর আসেন তখন আমার লোকজন তার কাছে যাইতে ছিল । তখন অতর্কিত ভাবে বাচ্চু বেপারী তার লোকজন নিয়ে আমার লোকজনের উপর হামলা চালায়। এ সময় তারা আমার সমর্থক দের ৫/৬ টি গাড়ী ভাংচুর করে।
প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর বাচ্চু বেপারীকে বার বার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, যুবলীগের দু গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ও ককটেল বিস্ফোরনের কারনে ব্যবসায়ীরা দোকান পাট বন্ধ রেখেছিল । এখন আমরা তা খুলে দিয়েছি।
শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নড়িয়া সার্কেল এস এম মিজানুর রহমান বলেন , আমরা ফায়ার সার্ভিস এলাকায় যুবলীগের দু গুপের সমর্থকরা ১৫/২০টি ককটেল বিস্ফোরন ঘটালে উত্তেজিত কর্মীদের নিয়ন্ত্রন করতে পুলিশ ২৩ রাউন্ড ফাকা গুলি ছোড়ে। এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে ।