নিজেকে জানতে, চিনতে: ভালো-মন্দ নিয়েই আপনি। নিজেকে ভালোবাসা মানে এই নয় যে আত্মোন্নয়ন করবেন না। নিজের সঙ্গে এক ধরনের বোঝাপড়া হবে। গভীরভাবে ভাববেন। নিজেকে বুঝে যাবেন।
জীবনে বেঁচে থাকার জন্য, এ সমাজের স্বার্থে নিজেদের ভালো থাকাগুলোকে ত্যাগ করে থাকি। যদি এর উল্টোটা করি তবে হয়ে যাই স্বার্থপর। নিজেকে নিয়ে ভাবলে কিংবা নিজের ভালো থাকাটাতে মূল্য দিলে সমাজ স্বার্থপর কিংবা আত্মকেন্দ্রিক বলে। কিন্তু, অন্যের মানসিকতা বিচারের আগে আমাদের কোনটি আত্মকেন্দ্রিকতা এবং কোনটি স্বয়ংসম্পূর্ণতা, এর পার্থক্য জানা জরুরি।
সেল্ফলেস বনাম সেল্ফিস
জীবনে যাই করি না কেন, তার সবটাই ভালো থাকা কিংবা আনন্দে থাকার জন্য। এমনকি আমাদের সঙ্গে আশেপাশের মানুষগুলোর সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক সেটাও আমাদেরকে ভালো রাখে, আনন্দে রাখে। আমরা চেষ্টা করি আমাদের আশেপাশের মানুষগুলোকে ভালো রাখার, এমনকি তাদেরকে ভালো রাখার লক্ষ্যে নিজেদের ছোট-বড় ভালো লাগাগুলোকে বিসর্জন দিতেও দ্বিধা বোধ করি না। এমনকি, এটাও ভুলে যায় যে, অন্যকে ভাল রাখার জন্য নিজের ভাল থাকাটাও যে জরুরি। বরং আমাদের প্রত্যেকেরই এটা বোঝা প্রয়োজন যে, নিজেকে নিয়ে ভাবা বা নিজের মতো করে ভালো থাকার মধ্যে স্বার্থপরতার কিছু নেই। নিজেকে নিয়ে ভাবা মানেই সেল্ফিস হওয়া নয়।
আত্মবিশ্বাস বাড়াতে
আত্মবিশ্বাসী, অন্যকে অনুপ্রেরণা দিতে পারে এমন মানুষ আমরা পছন্দ করি। অবচেতন মনে এ ধরনের মানুষও হতে চান কমবেশি সবাই। আত্মবিশ্বাস থাকলে জীবনে সফল হবেনই। নিজেকে ভালোবাসলে দেখবেন ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন।
নিজের খুঁত এড়ানো
নিজের বিভিন্ন খুঁত নিয়ে অনেকের মধ্যে আড়ষ্টতা কাজ করে। যেমনই হোন না কেন, নিজের প্রতি ভালোবাসা কমানো ঠিক না। তা না হলে এক সময় হতাশা ভর করবে।
নিজ বৃত্তের ভেতরে
নিজেকে নিয়ে ভাবা, নিজেকে আনন্দের কথা ভাবা এগুলো ভুল কিছু নয়। নিজেকে নিয়ে ভাবলে যদি, অন্যের কাছে মনে হয় এটা খারাপ কিছু, তাহলে তা মোটেই ভালো মন-মানসিকতার পরিচয় পায় না। তাই, কখনওই নিজেকে ভাবলে কখনোই হীনমন্যতায় ভোগা উচিত নয়। বরং, নিজেকে নিয়ে ভাবা জরুরি।
নিজেকে চিনুন
সামাজিক গণ্ডি থেকে বেরিয়ে নিজেকে চিনতে পারাটা জরুরি। নিজের ভালো থাকার বিষয়গুলো জানতে পারা জরুরি। তাই নিজেক চিনুন, নিজের ভালো খারাপ দিকগুলোকে বিচার করতে শিখুন। একজন ভালো মানুষ হয়ে ওঠা, নিজের জন্যও প্রয়োজন।
নিজের সঙ্গে নিজের কথাগুলো বলুন। আপনি কিসে ভালো থাকবেন, সে সিদ্ধান্ত নিতে শিখুন। নিজেকে নিজের কাছে লুকাবেন না।নিজেকে চিনতে পারা জরুরি। নিজেকে না গুটিয়ে ভালোভাবে বাঁচতে শিখুন। সবার সঙ্গে আনন্দে বাঁচতে শিখুন। দেখবেন জীবনটা অদ্ভুত সুন্দর।
চারপাশ বদলে যায়
নিজেকে ভালোবাসতে পারলে দেখবেন চারপাশ অন্যরকম সুন্দর লাগছে। পারিবারিক জীবন সুন্দর হয়। অন্যকে ভালোবাসলে মনে প্রত্যাশা থাকে। নিজেকে ভালোবাসার জন্য কোনো প্রত্যাশা থাকার দরকার পড়ে না। মনের ওপর কোনো চাপ থাকে না। মন ভালো থাকলে কাজও বেশি করতে পারবেন। পরিবারের যে কোনো সমস্যা ঠান্ডা মাথায় সমাধান করতে পারবেন। নিজেকে সুখী মনে হবে। আয়নায় দেখবেন, আপনার সৌন্দর্যও বেড়ে গেছে।