চাঁদপুরে নবপ্রতিষ্ঠিত চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যকম শুরু হবে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিশ্ববিদ্যালয়টির উন্নয়নে কাজ করছেন।
নবনিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম উপাচার্য ড. মো. নাছিম আখতার এসব তথ্য জানিয়েছেন। কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজিসহ মোট তিনটি বিভাগ নিয়ে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
উপাচার্য নাছিম আখতার বলেন, ২০২১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আগামী বছর (২০২২) বিশ্ববিদ্যালয়টির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে। ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের পরেই ২০২২ সালে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে।
চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁধের ভেতরে বন্যামুক্ত এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টি জেলা শহর থেকে চার কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। চাঁদপুর– হাইমচর উপজেলা সড়কের ঠিক পূর্বপার্শ্বে নিরীবিলি ও শান্ত পরিবেশে সদর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে ৬০ একরের মধ্যে অবস্থিত। ইতিমধ্যে জমিও অধিগ্রহণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজও চলছে দ্রুততার সাথে।
আপাতত ক্যাম্পাসের পাশেই ভাড়া বাসায় অফিস ও ১ম বর্ষের ভর্তির কাযর্ক্রম চলবে। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের কাজ দ্রুত শুরু হবে। কাজ হবে ছাত্রদের আবাসিক হলেরও। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কাযর্ক্রমের জন্য ইতিমধ্যে একাডেমিক অনুমোদনও পাওয়া গেছে।
তিনটি বিভাগ নিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টির। সেগুলি হলো-কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) এবং বিবিএ (ব্যাচেলর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন)। প্রতি বিভাগে ভর্তি করা হবে ৩০ জন করে মোট ৯০ জন। এরপর ধাপে ধাপে ভতির্র আসন বাড়বে।
গত ২৩ ডিসেম্বর (সোমবার) ‘চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৯’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে চাঁদপুর সফরকালে জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জনসভায় চাঁদপুরে একটি মেডিকেল কলেজ এবং একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ২০১৯ সালে চাঁদপুর মেডিকেলে প্রথম এমবিবিএস ১ম বর্ষে ভর্তি শুরু হয়। এরপরেই শুরু হয় প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ প্রক্রিয়া। মনোরম এই স্থানটি বিশেষজ্ঞ টিম কর্তৃক নির্ধারিত হয়। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমও সম্প্রতি ক্যাম্পাসটি পরিদর্শন করেছেন।