শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুর ঢাকা মহা সড়কের প্রেমতলা – কোটা পাড়া কীর্তিনাশা নদীর উপওে জমি অধিগ্রহন না করেই চলছে ব্রীজ নির্মানের কাজ। ব্রীজের এক প্রান্তের পাইলিং এর কাজ ৬০ শতাংশ হলেও অপর প্রান্তে এখন ও কাজ শুরু করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান । কাজ করার জন্য জমির মালিকদের মানষিক ভাবে চাপ প্রয়োগ করছে বলে স্থানীয় মালিকদের অভিযোগ। পালং পৌর ভুমি অফিস বলছেন ,মালিকানা সনাক্ত করে কাগজপত্র এল এ শাখায় পাঠানো হয়েছে। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দাবী এখন ও জায়গা অধিগ্রহন হয়নি। আমরা জায়গার মালিকদেও বুঝিয়ে কাজ করছি। সড়ক বিভাগ বলছেন, অধিগ্রহনের কাজ চলছে ।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান , পালং ভুমি অফিস ও সড়ক বিভিাগ সুত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর ঢাকা মহাসড়কের কীর্তিনাশা নদীর উপর প্রেমতলা – কোটা পাড়ায় ১৯০ .২৭ মিটার দৈর্ঘ্যের পি সি গার্ডার ব্রীজ এর দরপত্র আহবান করে শরীয়তপুর সড়ক বিভাগ। ২০২০ /২১ অর্থ বছরে সর্ব নিম্নে দরদাতা হিসাবে মেসার্স জামিল ইকবাল ও হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠান যৌথ ভাবে কাজটি পায়। ২০২১ সালের ১ এপ্রিল কার্যাদেশ প্রধান করে শরীয়তপুর সড়ক বিভাগ। আগামী ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রীজ টির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সে অনুযায়ী মেসার্স জামিল ইকবাল ও হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড কাজটি শুরু করে। জমি অধিগ্রহন ছাড়াই শরীয়তপুর ঢাকা মহা সড়কের প্রেমতলা – কোটা পাড়া ব্রীজের উত্তর প্রান্তে ঘাগড়ী জোড়া এলাকায় এ্যাপাডমেন্ট এর (তথা নদীর উপরের অংশের) পিলারের ১৪ টি পাইলের কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে পাইল ক্যাপ বসিয়ে পিলার নির্মানের কাজ চলছে । নদীর মাঝ খানের তিনটি পিলারের ১০ টি করে মোট ৩০টি পাইল বসানোর কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে । ব্রীজের দক্ষিন পান্তে প্রেমতলা এলাকার এ্যাপাডমেন্ট এর (তথা নদীর উপরের অংশের) পিলারে ১৪ টি পাইল বসানোর কথা রয়েছে। কিন্তু জমি অধিগ্রহন না করায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করতে আসলে স্থানীয়দের তোপের মুখে কাজ করতে পারেনি তারা। শুধু এতেই ক্ষান্ত হননি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন। জমির মালিকদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে জায়গা ছেড়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করছে।
স্থানীয় জলিল,বিল্লাল ফকির, রিনা বেগম ,জানান ঠিকাদারী প্রতিষ।টান জমি অধিগ্রহন ছাড়া প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ করলেও কাজের মান খুবই নিম্মমানের । পাইল এর ঢালাই এর সময় সড়ক জনপথের প্রকৌশলীদের থাকার কথা থাকলে ও তারা থাকেন না। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাদের মন মত কাজ করে।
ব্রীজের দক্ষিন প্রান্তের পশ্চিম কোটা পাড়া এলাকার জায়গার মালিক ইলিয়াস বেপারী ও রাজ্জাক শেখ বলেন , আমাদের থাকার ঘরের জায়গায় ব্রীজের পিলার পড়ে । সেখানে পিলার করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তারা আমাদেরকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। অথচ আমাদের জায়গা এখন ও অধিগ্রহন করা হয়নি ।আমরা বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করেও কোন প্রতিকার পাইনি।
রেজানুর রহমান খান বলেন ,পরিকল্পিত ভাবে পূর্বেও ব্রীজের সাথে এই ব্রীজটি নির্মান করলে আমাদের শত বছরের পুরানো বসতবাড়ী বেচে যেত । এবং সরকারের ও অর্থনৈতিক সাশ্রয় হত । অথচ পূর্বেও ব্রীজ থেকে ৫০/৬০ ফুট জায়গা ফাকা রেখে নতুন ব্রীজ নির্মান করা হচ্ছে। পাশাপাশি এখন ও জমি অধিগ্রহন করা হয়নি। যেটা খুবই অমানবিক ।
পালং পৌরসভার ভুমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) মোঃ জুয়েল হোসন ঢালী বলেন, আমারা ৪০ নং পূর্ব কোটা পাড়া মৌজার কাগজপত্র অধিগ্রহন করার জন্য এলএ শাখায় প্রেরন করেছি।
মেসার্স জামিল ইকবাল ও হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড এর প্রকল্প পরিচালক মোঃ হাসান বলেন প্রেমতলা -কোটাপাড়া কীতিনাশা নদীর উপর ব্রীজের জায়গা এখন ও অধিগ্রহন করা হয়নি । আমরা স্থানীয়দেও সাথে কথা বলে তাদেও কে বুঝিয়ে কাজ শুরু করেছি। যারা জায়গা দিতে রাজি হয়নি । তাদের সাইডে কাজ বন্ধ রেখেছি।
শরীয়তপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভুইয়া রেদুয়ানুর রহমান মোবাইল ফোনে উত্তেজিত হয়ে বলেন, ভুমি অধিগ্রহনের কাজ চলছে । কাজের মানের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন , সিডিউল অনুযায়ী সকল নিয়ম নীতি মেনে কাজ চলছে।