শরীয়তপুরে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরে পদ্মার পানি বিপদ সীমার ৭৬ সেন্টিামিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জাজিরা, নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম আংশিক প্লাবিত হয়েছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকেলে বন্যার আশংকা রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্লাবিত এলাকার খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের কথা জানিয়েছে।

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, পদ্মার পানি একদিনের ব্যবধানে ১৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে আজ মঙ্গলবার বিপদসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলকা প্লাবিত হয়ে নড়িয়া উপজেলায় ৬টি, জাজিরায় ৯টি ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম আংশিক প্লাবিত হয়েছে। ফলে পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। তলিয়ে গেয়ে বসত বাড়ী সহ রাস্তা-ঘাট, মাছের ঘের, ফসলি জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এদিকে অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারনে পদ্মার ভাঙ্গনে জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের দেড় শতাধিক বসত বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন আতংকে পদ্মা তীরবর্তি আরো শতাধিক পরিবার তাদের ঘর নিরাপদ আশ্রয়ে সারিয়ে নিচ্ছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, জাজিরা, নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার ৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে নড়িয়া উপজেলার ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেনীকক্ষে ও নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার ৫০টি বিদ্যালয় মাঠে পানি প্রবেশ করেছে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবিব বলেন, চলতি বর্ষায় জাজিরা উপজেলার পদ্মা তীবর্তী এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা জরুরী ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ আজিম উদ্দিন বলেন, আমরা নিয়মিত নদী ভাঙ্গন ও বন্যা প্লাবিত এলাকার মানুুষের খোঁজ-খবর রাখছি। ইতিমধ্যে কিছু কিছু এলাকায় খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের কাছে ৮০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা মজুত আছে। আগামীকাল থেকে জেলার সকল পানিবন্দি মানুষের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা বাড়ী বাড়ী পৌছে দেয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।