শরীয়তপুরের মাঝিরঘাটে পরিক্ষামুলক ভাবে ফেরি চালাতে বিলম্ব

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের মাঝির ঘাটে নতুন ফেরি ঘাট মঙ্গলমাঝির ঘাট-শিমুলিয়া ঘাট স্থাপন করা হয়। সেই ফেরিঘাট আজ পরিক্ষামুলক ভাবে ফেরি চালানোর কথা থাকলেও তা চালানো সম্ভাব হয়নি বলে জানিয়েছে বি আই ডব্লিউটি এর কমকর্তারা। ফেরি কুঞ্জলতা মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মঙ্গলমাঝির ঘাটে আসার জন্য প্রস্তুত থাকলেও নৌ-পথের অনুমতি না পাওয়া ফেরিটি আসেনি। কবে আসবে তাও নিশ্চিত করে বলতে পারেনি বিআইডব্লিউটি এর কমকর্তারা। ফলে দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার পন্য পরি বহন ও যাতায়েতে চরম দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে। আর অপেক্ষার প্রহর গুনতে হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষের।

ফেরির ম্যানেজার মো: সালাউদ্দিন ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মঙ্গলমাঝির ঘাটে নতুন করে ফেরিঘাট নির্মাণের কাজ শুরু করে। এখানে ফেরিঘাট সচল করার জন্য পন্টুন স্থাপনসহ ২৬ আগষ্ট এ নৌরুটে ফেরি চলাচলের যাবতীয় কাজ শেষ করা হয়। নতুন এ ঘাটে ছোট ব্যক্তিগত গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, সরকারি দপ্তরের জরুরি গাড়ি পারাপার করা হবে। ঘাটের জন্য একটি রো রো ফেরির পন্টুন আনা হয়েছে। এ ঘাটে তিন থেকে চারটি কে টাইপ ফেরি চলাচল করবে। ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এই ফেরিঘাটটি আজ পরিক্ষামুলক ভাবে ফেরি চালানোর কথা থাকলেও তা চালানো সম্ভাব হয়নি বলে জানিয়েছে বি আই ডব্লিউটি এর কমকর্তারা।

ফেরি কুঞ্জলতা মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মঙ্গলমাঝির ঘাটে আসার জন্য প্রস্তুত থাকলেও নৌ-পথের অনুমতি না পাওয়া ফেরিটি আসেনি। কবে আসবে তাও নিশ্চিত করে বলতে পারেনি বিআইডব্লিউটি এর কমকর্তারা। এর আগে একাধিক বার নতুর এ নৌ-রুটে একাধিক বার ফেরি চলাচলের কথা তাকলে পদ্মা নদীর নব্যতা সংকট ডুবোচর ও যথাযথ চ্যানেল না থাকায় ফেরী চালানো সম্ভাব হয়নি। ফলে দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার পন্য পরি বহন ও যাতায়েতে চরম দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে। আর অপেক্ষার প্রহর গুনতে হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষের।

মঙ্গলমাঝির লঞ্চঘাটের ইজারাদার মোখলেছ মাদবর বলেন, বার বার ফেরি চালু করার কথা থাকলে নতুন এ ঘাটে ফেরি চলছে না। ফলে দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের অপেক্ষার শেষ হচ্ছে না। এ অঞ্চলের মানুষ চরম ভোগান্তিতে আছে।

ফেরি ঘাটের ম্যানেজার মো: সালঅউদ্দিন বলেন, আমরা ফেরি নিয়ে মঙ্গলমাঝির ঘাটে পরিক্ষামুলক যাওয়া জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তুু উপর মহলের অনুমতি না পাওয়ায় আমরা ফেরি চালাতে পারিনি। কওে নাগাদ চলবে তা আমরা জানি না।

বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ট্রাফিক সুপারভাইজার আব্দুল্লাহ ইনাম বলেন, মঙ্গলমাঝি ফেরি ঘাটে সকল কিছু প্রস্তুত রয়েছে। আজ ফেরি কুঞ্জলতা পরিক্ষা মুলকভাবে চালানো কথা থাকলেও নদীর নব্যতা সংকটসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় তা চালানো সম্ভাব হয়নি।

জানা গেছে, পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরি ধাক্কা লাগার কারণে ১৮ আগস্ট থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথ বন্ধ থাকায় এই পথের যাত্রীরা পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ব্যবহার করছেন। বাড়তি চাপে সেখানে তৈরি হচ্ছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। ২৩ জুলাই নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে শাহজালাল নামের একটি রো রো ফেরির ধাক্কা লাগে। এতে ফেরিটির অন্তত ২০ যাত্রী আহত হন। এরপর ৯ আগস্ট বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামের আরেকটি রো রো ফেরি ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। ১৩ আগস্ট কাকলি নামের একটি ফেরি পুনরায় একই পিলারে ধাক্কা দেয়। ৩১ আগষ্ঠ পদ্মা সেতুর স্পেনের সাথে ধাকা লেগে ফেরির বীর শেষ্ট জাহাঙ্হীরের মাস্তুল ভেঙ্গে গেছে। তীব্র স্রোতের কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।