শরীয়তপুরে সরকারী পূর্ব মাদারীপুর কলেজে অ্যাসাইনমেন্টের জন্য টাকা নেয়ার অভিযোগ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় সরকারী পূর্ব মাদারীপুর কলেজে অ্যাসাইনমেন্ট এর জন্য একশত করে টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে ঐ প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অত্র কলেজের অধ্যক্ষ বলছেন , ছাত্র-ছাত্রীরা সময় মত অ্যাসাইনমেন্ট জমা না দেয়ার কারনে আমরা জরিমানা হিসেবে একশত টাকা করে আদায় করছি।

সরকারী পূর্ব মাদারীপুর কলেজের অধ্যক্ষ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রনায়লের নির্দেশনা অনুযায়ী অ্যাসাইনমেন্ট এর জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে কোন টাকা নেয়া যাবে না। কিন্তু পূর্ব মাদারীপুর সরকারী কলেজের একাদশ শ্রেনীতে বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে ৫৪১ জন। তারা আগামী ২০২২ সালের এ্ইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবে । বর্তমানে করোনা কালীন সময়ে অ্যাসাইনমেন্টের নামে তাদের কাছ থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রতি বিষয়ের বিপরীতে একশত টাকা আদায় করছে। আর এতে করে ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একধিক শিক্ষার্থী জানান , দীর্ঘদিন যাবত করোনা মহামারীর কারনে আমাদেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এখন অ্যাসাইনমেন্টের নামে আমাদের কাজ থেকে একশত টাকা করে নিচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ এটা অমানবিক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক অভিবাবক বলেন , এমনিতেই ছেলে মেয়েরা পড়ালেখায় মনোযোগী না তার উপর আবার জরিমানার নামে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা । সরকারের নির্দেশনা না থাকলেও উনারা টাকা নিচ্ছেন।

সরকারী পূর্ব মাদারীপুর কলেজের সহকারী অধ্যাপক মকবুল হোসেন (মামুন) বলেন , গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের অ্যাসাইনম্ন্টে জমা দিচ্ছে। জমা দেওয়র সংখ্যা খুবই কম এ সংখ্যা বাড়াতে কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্বান্ত। এটা তেমন কিছু না।

সরকারী পূর্ব মাদারীপুর কলেজের অধ্যক্ষ মো: জহির উল্লাহ বলেন, আমরা কলেজের শিক্ষক পরিষদ ছেলে মেয়েদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করার জন্য জরিমানা আদায়ের সিদান্ত নিয়েছি। তাও খুবই সামান্য প্রতি বিষয়ের বিপরীতে একশত টাকা করে। এ বিষয়ে অভিযোগ হলে আমরা আর টাকা নিবো না।

ডামুড্যা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজকে একাধিক বার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।