আগামী অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আরব আমিরাতের পিচ স্পিনবান্ধব হওয়ায দক্ষিণ এশিয়ার দলগুলো তুলনামূলক বেশিই সুবিধা পাবে। তাই এই আসরে অন্যতম ফেভারিট হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরাশক্তিধর ভারত, পাকিস্তান এবং বর্তমানের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ডের নাম বলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তির হার্শেল গিবস।
ফেভারিটদের তালিকায় বাংলাদেশের নামও রয়েছে। অবশ্য এর কারণও আছে। টি-টোয়েন্টিতে সম্প্রতি সময়টা দারুণ কাটছে বাংলাদেশের ক্রিকেট দল । সর্বশেষ আট টি-টোয়েন্টির মধ্যে ছয়টিই জিতেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। জিম্বাবুয়েতে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জেতার পর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমানের মতো ক্রিকেটাররা আছেন দুর্দান্ত ফর্মে।
সে হিসেবেই হয়তো ফেভারিটদের তালিকা করতে গিয়ে বাংলাদেশের কথা মনে পড়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকান হার্ডহিটার গিবসের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফেভারিট জানতে চাইলে গিবস বলেন, আমি ফেবারিট হিসেবে বলব ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও ভারতের কথা। আসলে আপনি নিশ্চিতভাবে কিছুই বলতে পারেন না। শ্রীলংকা ও বাংলাদেশও যেকোনো কিছু করে ফেলতে পারে।’ ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ডের কথাই জোড় দিয়ে বলেছেন গিবস। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বরাবরই টি-টোয়েন্টিতে ভয়ঙ্কর। তবে আরব আমিরাতের মন্থর উইকেটে ক্যারিবিয়ানদের পেশিশক্তি খুব একটা কাজে আসবে বলে মনে করছেন না গিবস।
গিবস বলেছেন, পাকিস্তানের আনপ্রেডিক্টেবিলিটি সবসময়ই একটা বড় প্রভাবক। ইংল্যান্ড আর ভারত শক্তিশালী দল। তাই উইকেটের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। যদি উইকেটে বল টার্ন করে, আমার মনে হয় না ওয়েস্ট ইন্ডিজ তেমন ভয়ানক হতে পারবে। তিনি আরও বলেন, বিরাট কোহলি (ভারত), বাবর আজম (পাকিস্তান), জস বাটলার (ইংল্যান্ড)- এসব দলে অনেক ভালো ব্যাটসম্যান রয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজেও কয়েকজন আছে। তবে কোহলি, বাবর, স্টিভ স্মিথরা এমন ব্যাটসম্যান যারা সব ধরনের উইকেটেই ভালো খেলতে পারে। তাদের স্কিল অনেক বেশি। যা অন্যদের চেয়ে তাদেরকে আলাদা করে দেয়।