শরীয়তপুরে বেইলি ব্রীজ ভেঙ্গে পাথর বোঝাই ট্রাক উল্টে ১ শ্রমিক নিহত

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুর – নড়িয়া আঞ্চলিক সড়কে আবারো বেইলি ব্রীজ ভেংগে একটি পাথর বোঝাই ট্রাক পওে গিয়ে এক শ্রমিক ১ নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছে । সেখানে বিকল্প কোন বাইপাস রাস্তা নির্মান না করায় এ দূর্ঘনা ঘটেছে বলে এলাকা বাসী জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার কোরাইশি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। পালং মডেল থানা পুলিশ, ও ফায়ার সার্ভিস তাদেও উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রেরন করেছে।
সড়ক বিভাগের গাফিলতির কারনে এ ধরনের দর্ঘটনার অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।
শরীয়তপুর সড়ক বিভাগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর নড়িয়া আঞ্চলিক সড়কের কোরাইশি এলাকায় শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যায়ে ২টি কালভাট ও ১২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মানের দরপত্র আহ্বান করে । সর্বনিম্ম দরদাতা হিসাবে এম এম বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। গত ২ বছর ধরেবিকল্প রাস্তা নির্মান না করে এবং কোন সংকেত বা ব্যারিকেট না দিয়ে পুরাতন সেতুর উপরে নাট বল্টু ছাড়াই একটি বেইলি সেতু বসিয়ে দেয়। এর পর জীবনের ঝুকি নিয়ে চালকরা গাড়ি পারা পার ও শ্রমিকরা জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করছেন। ফলে এখানে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
আজ মঙ্গল বার সকালে পাথর বোঝাই একটি ট্রাক (কুষ্টিয়া – ট -১১-১৬২৬) নড়িয়ার দিকে যাওয়ার সময় বেইলি ব্রীজ টির উপর উঠলে তা ভেংগে উল্টে পড়ে যায়। এ সময় সেখানে কাজ করতে থাকা শরীয়তপুর জেলার সদও উপজেলার স্বর্নঘোষ এলকার মৃত মনির উদ্দিন বেপারীর ছেলে নয়ন বেপারী(৩২) , একই এলাকার মজিবুর সরদার (৬০),তাহের সিকদার (৫৫), ছমেদ খান (৬০) ও দেলোয়ার হাওলাদার (৩৫)পাথর চাপা পড়ে যায় । পালং মডেল থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এর একটি ইউনিট তাদেও উদ্ধার করে এ সময় নয়ন বেপারী ঘটনা স্থলেই মারা যায় । পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রেরন করেছে। আহতদের কে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সড়ক বিভাগের গাফিলতির কারনে এ ধরনের দূর্ঘটনার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। আহত শ্রমিক মজিবর সরদার বলেন , আমরা এ বেইলি ব্রীজটির ও নিচে মাটি কাটার কাজ করছিলাম হঠাৎ কওে পাথর বোঝাই একটি ট্রাক আমাদেও উপর পড়লো । ভাগ্য ক্রমে আমরা ৪ জন বেচে গেলেও নয়ন বেপারী পাথর চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। স্থানীয় জুয়েল বেপারী বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাফিলতি ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কারসাজিতে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা । এখন বেইল ব্রীজ ভাঙ্গার কারনে আমাদেও প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে শরীয়তপুর নড়িয়া যাতায়াত করতে হবে। মাহেন্দ্র চালক রাশেদ মিয়া বলেন , এ কাজটি গত তিন বছর ধওে ঠিকাদার করছেন । রাস্তায় মালামাল রাখার কারনে প্রতিদিনি ঘটছে দুর্ঘটনা । ঈদের দিন দুজন লোক মারা গেছেন ।আর আজকে একজন মারা গেলেন। এখানে কোন বিকল্প রাস্তা রাখা হয়নি । নাট বল্টু ছাড়া একটি বেইলি ব্রীজ দিয়ে কাজ শুরু করেছে।
এ ব্যাপরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম এম বির্ল্ডাস এর স্বত্বাধীকারীসহ কাউকে পাওয়া যায়নি। শরীয়থপুর জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভুুইয়া রেদওয়ানুর রহমান বলেন , আমাদের কাজে কোন গাফিলতি ছিল না । তবে করোনা মহমারীর কারনে কাজে একটু ধীর গতি ছিল। আর অতিরিক্ত মাল বাহী ট্রাক উঠার কারনে বেইলি ব্রীজটি ভেংগে গিয়ে একজন নিহত সহ বেশ ক্ষতি হয়েছে।
 -এম এইচ/আর আর এন