পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে আমাদের মন মতো প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে। এদিকে উজবেকিস্তান সফরকালে ভারত, চীন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তাসখন্দের সম্মেলনে ৪০ টি দেশ থেকে ২৫০ প্রতিনিধি অংশ নেবেন। সম্মেলন শেষে আগামী ১৯ জুলাই ঢাকা ফিরবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। রাজধানীর নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ড. আব্দুল মোমেন জানান, জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ ১৯৩টি দেশ এক যোগে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে প্রস্তাব পাস করেছে। সবাই এক বাক্যে স্বীকার করেছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে হবে।
তিনি বলেন, এর আগে জাতিসংঘে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যে প্রস্তাব পাস হয়, সেখানে আমরা ভোটদানে বিরত ছিলাম। কারণ সে সময় আমাদের প্রস্তাবকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়নি। এবার আমাদের প্রস্তাবই সবাই পাস করেছে। আমাদের মনমতোই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। গত সোমবার জেনেভায় রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার জবাবদিহি নিশ্চিত ও তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পর জেনেভায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় এবারই প্রথম কোনো প্রস্তাব বিনা ভোটে জাতিসংঘে গৃহীত হয়।
ড. মোমেন জানান, উজবেকিস্তান সফরকালে রাশিয়া, ভারত ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার বৈঠক হবে। এসব বৈঠকে রোহিঙ্গা, টিকা সহযোগিতা আলোচনা প্রাধান্য পাবে। ড. মোমেন বলেন, মিয়ানমারের সেনাপ্রধান কিছুদিন আগে রাশিয়া গিয়েছিলেন। আমিও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি তুলে ধরতে চাই। তিনি আরও বলেন, চীনের পররাষ্ট্র ওয়াং আইয়ের সঙ্গে সেখানে বৈঠক হবে। চীন জানিয়েছে, আমাদের আরও ১০ লাখ টিকা উপহার দেবে। বৈঠকে টিকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।
আজ বুধবার তাসখন্দের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন ড. মোমেন। তাসখন্দে ‘মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি: সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ’-শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি। সম্মেলনের ফাঁকে বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ড. মোমেন। তিনি উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন।