অনেকদিন ধরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি চাঁদপুরে আইসিইউ স্থাপনের চেষ্টা করছেন। কিছুদিন আগে যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে চারটি ‘আইসিইউ বেড’ চাঁদপুর সদর হাসপাতালের জন্য পাওয়া গেছে শুনে বিপুল উৎসাহে আইসিইউ স্থাপনের জন্য স্থান ঠিক করলাম।
কিন্তু যখন বাক্স খুলে শুধু চারটি বেড, চারটি জাজিম/ম্যাট্রেস ও চারটি সাইড ক্যাবিনেট পাওয়া গেল তখন সবাই একটু অবাক হলাম। কারণ আইসিইউ এর জন্য প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেটর, মনিটর, এবিজি মেশিনসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ছাড়া কোন আইসিইউ হতে পারে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয় আশ্বাস দিয়ে বলেন,আইসিইউ এর জন্য অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি যতদ্রুত সম্ভব পাঠাবেন। জনবল দেবেন বলেছিলেন- প্রক্রিয়া চলছিলো, আজ আদেশ হয়েছে। সেন্ট্রাল লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর কাজও প্রায় নব্বই শতাংশ হয়েছে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পেলে আইসিইউ চালু করা যাবে। সকলেই বিভ্রান্তমূলক তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকবেন এ প্রত্যাশা করেন ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, গত বছর করোনার তাণ্ডব শুরুর পরপরই সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে চাঁদপুরের মানুষের জন্য সদর হাসপাতালের ৩০টি বেডের জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো ও ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিলো।
করোনা শনাক্তকরণের সুবিধা যেন হয় সেজন্যই ল্যাব স্থাপন করা হয়েছিল। কারণ সেসময় টেস্টের অপ্রতুলতার কারণে ফলাফল পেতে অনেক বেশি দেরী হয়ে যেতো। যারা এ কাজগুলোতে আমাকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরের মানুষ তাদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দিয়ে যে সম্মান দিয়েছেন, তাদের যে বিশ্বাস ও আস্থা স্থাপন করেছেন আমার ওপর,যে অপার ভালোবাসা দিয়েছেন, সে ঋণে আমি তাদের কাছে আবদ্ধ আজীবনের জন্য।