তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যাবসা করুন – মাহি বি চৌধুরী

  • Save

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ তথ্যপ্রযুক্তি সুবিধা বাড়ায় ঘরে বসেই এখন অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা করা যাচ্ছে। প্রযুক্তির এ অবারিত সুযোগ কাজে লাগাতে পারায় দেশে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। তবে শহরের তুলনায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার সংখ্যা কম। আজ নিউ ঢাকা সিটি পলাশপুর,সিরাজদিখান,মুন্সিগঞ্জে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন মুন্সিগঞ্জ-১ সিরাজদিখানের এমপি মাহি বি চৌধুরী।

সেমিনারে মাহি বি চৌধুরী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে ব্যবসা সম্প্রসারিত হচ্ছে, বিনিয়োগ বাড়ছে, উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। সুতরাং প্রযুক্তির সুবিধা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে আরো বেশি উদ্যোক্তা তৈরি হবে।

করোনা মহামারির কারণে ব্যবসার ধরন, গ্রাহকের আচরণ—সব কিছুতে আমূল পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে ব্যবসার ডিজিটাল রূপান্তর করছেন অনেকেই। অনলাইনকেন্দ্রিকে সেবায় ভোক্তার অভ্যস্ততা তৈরি হওয়ায় ব্যবসার কৌশল বদলাচ্ছেন অনেকেই। দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতেও ব্যবসা চালু রাখতে সনাতন পদ্ধতির পাশাপাশি ই-কমার্সে প্রবেশ করছে বিভিন্ন কম্পানি। উদ্যোক্তারা ,ব্যবসার ব্যয় কমিয়ে উৎপাদন বাড়াতে তাঁরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটি) সহায়তা নিচ্ছেন। সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ ও নীতি সহায়তার পাশাপাশি প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা পুনরুদ্ধারে সর্বশক্তি নিয়ে নেমেছেন তাঁরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে ই-কমার্সের বাজার বেশ ভালো আকার ধারণ করেছে গত মার্চের শেষের দিকে শুরু হওয়া করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে। করোনা প্রতিরোধে মানুষ চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় বাসায় বসে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পণ্য কেনাকাটা শুরু করে। এ সময় পাঠাও, দারাজ, চালডালডটকম, সহজডটকম, ফুডপান্ডা, বাগডুমডটকম, আজকেরডিলডটকম, বিক্রয়ডটকম, সেবাএক্সওয়াইজেডের মতো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ঘরে পণ্য পৌঁছে দেয়। দেশে ই-কমার্স ব্যবসার প্রসারে সহায়তা করেছে মোবাইল ব্যাংকিং এবং অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু থাকার কারণে।

প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা কাজে লাগিয়ে কটেজ, মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ এবং স্টার্টআপের মতো ব্যাবসায়িক উদ্যোগের ভিত্তিকে সুদৃঢ় করার উদ্দেশ্যে ‘এফবিসিসিআই টেক সি’ নামে একটি প্রযুক্তি কেন্দ্র চালু করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। গত ৬ ডিসেম্বর ফেডারেশন ভবনে নতুন এই উদ্যোগ উদ্বোধন করা হয়। এটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসার ডিজিটাইজেশনে সহায়ক হবে আশা করা হচ্ছে।

সেমিনারে অন্তত শতাধিক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা অংশ নিয়ে তাদের সুবিধা-অসুবিধা ও অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।