রেকর্ড উদযাপন মেসির,করেছেন জোড়া গোল

রেকর্ড ভাঙার এই ম্যাচটিতে মেসি গোল করেছেন ২টি, করিয়েছেন আরও ১টি। আর্জেন্টিনার হয়ে বাকি গোলগুলো করেছেন পাপু গোমেজ ও লাওতারো মার্তিনেজ। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বলিভিয়ার। দলটির জন্য শেষ ম্যাচটি ছিল শুদুই আনুষ্ঠানিকতার। তবে আর্জেন্টিনার জন্য ম্যাচটি ছিল গ্রুপসেরা হয়ে নকআউট পর্বে যাওয়ার। সেই সুজুগটাকেই দারুণভাবে ব্যবহার করলেন মেসিরা। ব্রাজিলের মতো চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম পর্ব শেষ করেছে আর্জেন্টিনাও।

ম্যাচের প্রথম তিন মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত আর্জেন্টাইনরা। হয়নি আর্জেন্টিনার হয়ে শততম ম্যাচ খেলতে নামা স্ট্রাইকার সের্হিও আগুয়েরো ও আনহেল কোরেয়া সহজ সুযোগ নষ্ট করায়।

তবে ৬ মিনিটে আর সুযোগ নষ্ট করেননি পাপু গোমেজ। কোরেয়ার কাছ থেকে পেনাল্টি বক্সের মাথায় বল পেয়ে যান মেসি। সেখান থেকে বলিভিয়ার ডিফেন্ডারদের মাথার ওপর দিয়ে গোমেজকে বলটা দিলেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। বলিভিয়ার গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোল পেয়ে যান ৩৩ বছর বয়সী গোমেজ।

আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় গোলটি পায় ৩৩ মিনিটে। পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন মেসি। গোমেজকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন বলিভিয়ার হুসতিনিয়ানো। আর্জেন্টিনার জার্সিতে সেটি ছিল মেসির সব মিলিয়ে ৭৪তম ও পেনাল্টি থেকে ১৮তম গোল।

মেসি ৭৫তম গোলটি পেয়ে যান ৪২ মিনিটে। আগুয়েরোর থ্রু বল ধরে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ে শট নেন মেসি। এগিয়ে আসা বলিভিয়ার গোলরক্ষক কার্লোস লাম্পের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়ায় বল। ৩–০ গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে ১৯৯৩ সালে সর্বশেষ কোপা আমেরিকা জেতা আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের ঘড়ির কাটা ঠিক এক ঘণ্টা ছুঁতেই বলিভিয়া একটা গোল পেয়ে যায়। হুসতিনিয়ানোর পাস থেকে ফ্রাঙ্কো আরমানিকে পরাস্ত করতে ভুল করেননি এরউইন সাভেদ্রা।

পাঁচ মিনিট পরেই আবার ব্যবধানটা ৩ করে ফেলে আর্জেন্টিনা। আগুয়েরোর বদলি হিসেবে মাঠে নামার ২ মিনিটের মধ্যে গোল পেয়ে যান লাওতারো মার্তিনেজ। এরপর চেষ্টা করেও আর কোনো গোল পায়নি আর্জেন্টিনা।