তবে রেল, আকাশ ও নৌপথের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট বিধিনিষেধ না থাকায় ও এসব যোগাযোগ মাধ্যমে ঢাকায় আসা যাবে। তবে যে জেলাগুলোতে লকডাউন করা করেছে সেখানে থাকবে না রেল ও লঞ্চ। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন,যেমন ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জে যেসব ট্রেন চলে সেগুলো বন্ধ থাকবে। কিন্তু দূরের যাত্রার ট্রেনগুলো যথারীতি চলবে। তবে যেসব জেলায় বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে সেখানে ট্রেন থাকবে না।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারাম্যান কমোডর গোলাম সাদেক সাত জেলায় বিধিনিধিষেধের মধ্যে এই সাত জেলা দিয়ে যাত্রীবাহী নৌযান চলবে না।
বিধিনিষেধের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে দূর পাল্লার বাস চলবে কি না তা স্পষ্ট করে বলা নেই। তবে একজন কর্মকর্তা জানালেন, সব ধরনের যানবাহনই বন্ধ থাকবে।
এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ওই সাত জেলায় সার্বিক কার্যাবলি ও চলাচল ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে। আদেশে বলা হয়, এই সময়ে শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস বা জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (নদীবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এবং পণ্যবাহী ট্রাক বা লরি এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।
এ বিষয়ে সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ঢাকাকে আমরা একটু কাট-অফ (বিচ্ছিন্ন) রাখতে চাই অন্য জেলার সঙ্গে।’