নাসির-অমিসহ ০৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ

ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার হওয়া আসামি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে । মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ।

মামলায় আসামিরা হলেন- নাসির উদ্দিন মাহমুদ (৬৫), পরীমনির বন্ধু তুহিন সিদ্দিকী অমি (৩৩), লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তার (১৯) ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধা (২৪)।

এর আগে সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর উত্তরা-১ নম্বর সেক্টরের-১২ নম্বর রোডের বাসা থেকে ওই ৫ জনকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

অভিযান শেষে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা (যেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে) পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার অমির বাসা। পরীমনির সংবাদ সম্মেলনের পর থেকে নাসির ওই তিন নারীকে নিয়ে এ বাসায় পালিয়ে ছিলেন। মাদক রাখার অভিযোগে সেই তিন নারীকেও আমরা গ্রেফতার করেছি।’

নাসির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নাসিরের বিরুদ্ধে আগেও মাদক এবং নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে। নানা অভিযোগে তাকে উত্তরা ক্লাব থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে বলে জেনেছি। কেউ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে আমরা সেগুলোর তদন্ত করব।’

এর আগে রোববার রাত ৮টার দিকে ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়ে অভিযোগ তোলার পর রাতে সাংবাদিকদের বনানীর বাসায় ডেকে ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন তিনি।

এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার বনানীর বাসায় সাংবাদিকদের কাছে ‘নির্যাতনকারীদের’ নাম-পরিচয় প্রকাশ করেন পরীমনি।

সংবাদ সম্মেলনে পরীমনি বলেন, ‘গত বুধবার (৯ জুন) রাত ১২টায় আমাকে বিরুলিয়ায় নাসির উদ্দিন মাহমুদের কাছে নিয়ে যায় অমি। ওই সময় নাসির নিজেকে ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন। সেখানে নাসির আমাকে মদ খেতে অফার করেন। আমি রাজি না হলে আমাকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে আমাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। তারপর আমাকে নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টা করেন। অমিও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।’