মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ছে ৮ হাজার টাকা

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য এনে অর্থবিভাগ দেখেছে, দেশে ১ লাখ ৯১ হাজার ৫৩২ জন সাধারণ বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসিক সম্মানী ভাতা পেয়ে থাকেন। আর উৎসব ভাতা, মহান বিজয় দিবস ভাতা ও বাংলা নববর্ষ ভাতা পান ২ লাখ ৫ হাজার ১১৭ জন সাধারণ বীর মুক্তিযোদ্ধা।

এ ছাড়া সম্মানী ভাতা পান ১১ হাজার ৯৯৮ জন শহীদ, যুদ্ধাহত ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধা। মাসিক সম্মানী ভাতা পাওয়ার মধ্যে আরও রয়েছেন ৫৮৭ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। তাঁদের মাসিক সম্মানী ভাতা একটু বেশি।

সম্মানী ভাতার পাশাপাশি সাধারণ, শহীদ ও যুদ্ধাহত এবং খেতাবপ্রাপ্ত—এই তিন শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েক ধরনের ভাতা ও সম্মানী দেওয়া হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বাবদ ৩ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। তখন তাঁরা মাসিক সম্মানী ভাতা পেতেন ১০ হাজার টাকা করে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের মাসিক সম্মানী ভাতা ১২ হাজার টাকা করা হয়।

সূত্রগুলো জানায়, মাসিক সম্মানী ভাতার জন্যই বরাদ্দ বাড়বে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকারও বেশি। আর উৎসব ভাতার জন্য ৪১ কোটি ও বিজয় দিবস ভাতায় ৪৫ কোটি টাকা বাড়বে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ১২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করার ঘোষণা দেন। ওই দিন মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন অ্যাকাউন্টে সরাসরি সম্মানী ভাতা পাঠানো কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করা বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর সরকারের সময় অবহেলায় থাকতে পারেন না।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি মাসে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ৩০ হাজার, মৃত যুদ্ধাহত পরিবার ২৫ হাজার, ৭ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ পরিবার ৩৫ হাজার, বীর উত্তম খেতাবধারীরা ২৫ হাজার, বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্তরা ২০ হাজার এবং বীর প্রতীক খেতাবধারীরা ১৫ হাজার টাকা করে সম্মানী ভাতা পাচ্ছেন। তবে আগামী ১ জুলাই থেকে সম্মানী ভাতার ক্ষেত্রে এত ভাগ না–ও থাকতে পারে। সাবেক অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, ‘সরকারের এই উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশকে স্বাধীন করার জন্য
যাঁরা যুদ্ধ করেছেন, সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কিছু করা সরকারের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।’