হেফাজত নেতা-কর্মীদের ৫ মে’র শাপলা চত্ত্বর তাণ্ডবের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৮৩ মামলার একটিরও বিচার শেষ হয়নি গেল আট বছরে। ২০১৩ সালের ৫মে এরপর হেফাজতকে আর মাঠে না পাওয়া গেলেও ২০২১ সালে মোদির সফর ঘিরে সহিংসতা ও মামুনুল কাণ্ডে আবারো আলোচনায় সংগঠনটি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, রাষ্ট্র দখলের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিলো হেফাজত।
২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্তরে অবস্থান নিয়ে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দেয় হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ সংগঠনটি। এ ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিলো পুরো রাজধানী। সরকারি হিসেবে ওই তাণ্ডবে প্রাণ হারায় ৩৯ জন। এই ঘটনায় সারাদেশে ৮৩টি মামলায় আসামী করা হয় প্রায় ৮৫ হাজার। গ্রেপ্তার হয় হেফাজতে ইসলামের ৮৮ জন নেতাকর্মী।
পরবর্তিতে হেফাজতের সব নেতাই জামিনে ছাড়া পায়। মামলারও আর কোন অগ্রগতি হয়নি। দীর্ঘ আট বছর পেরিয়ে গেলেও নিস্পত্তি হয়নি কোন মামলার।
চলতি বছরের ২৬ মার্চ নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে মামুনুল হকের নেতৃত্বে আবারো মাঠে নামে হেফাজত। মামুনুলসহ গ্রেপ্তান হয় হেফাজতের শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন। হেফাজতের কমিটি বিলুপ্তি নাটকও চলে।
এদিকে পুলিশ জানায়, হেফাজতের রাষ্ট্র দখলের পরিকল্পনাসহ গুরুত্বপূর্ণ নানা তথ্য দিয়েছেন রিমান্ডে থাকা মামুলল হক। গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, সহিংসতা চালানোর জন্য মাদ্রাসার মাধ্যমে ফান্ড সংগ্রহ করতো হেফাজত। আর একাজে ব্যবহার করতো মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ।