করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রকাশ্য মঞ্চে নয়, রাজ্যের রাজভবনের থ্রোন রুমে তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার (৫ মে) সকাল ১০টায় কালীঘাটের বাড়ি থেকে বের হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরাবরের মতোই পশ্চিম দিকের গেট দিয়েই রাজভবনে প্রবেশ করেন তিনি। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর স্থানীয় সময় পৌনে ১১টা নাগাদ জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।
বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুই মিনিটের শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকাড়। প্রোটেম স্পিকার হিসেবে শপথ নিলেন প্রবীণতম সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও।
উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২০-২৫ জনের মতো। করোনা বাড়বাড়ন্তের কারণে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল অনাড়ম্বরহীন ও সংক্ষিপ্ত। আড়ম্বড়হীন হলেও অনুষ্ঠানের একাধিক বিরোধীদলীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অনেকেই ছিলেন না। উপস্থিত ছিলেন না সৌরভ গাঙ্গুলীও। এছাড়া অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকেও। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকার কারণে উপস্থিত ছিলেন না।
উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের গতবারের বিরোধীদল কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মমতার ভাইপো ও দলের যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, উপস্থিত ছিলেন এবারের ভোট পরিচালক প্রশান্ত কিশোর, দলের নেতা বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, অভিনেতা সংসদ সদস্য দেব, শতাব্দী প্রমুখ। নবনির্বাচিত বিধায়করা বৃহস্পতি ও শুক্রবার শপথ নেবেন। রাজ্যের মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান হবে রোববার (৯ মে) রাজভবনে।
পশ্চিমবঙ্গে একুশের বিধানসভায় ২১৩ আসন পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। গোটা দেশ দেখলো মোদীবিরোধী মুখ আর কেউ নয়, একমাত্র মমতা বন্দোপাধ্যায়। যার প্রভাব পড়বে ভারতে জাতীয়স্তরের রাজনীতিতে।