বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি সুশৃঙ্খল, সুসংগঠিত ও পেশাদার বাহিনী এবং দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গৌরব ও সম্মান।
মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সৃষ্ট, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে তৈরি এই সেনাবাহিনী বর্তমানে পেশাগতভাবে দক্ষ ও পরিপক্ব। যা বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের সর্বশেষ আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সারাবিশ্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষী বাহিনীতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে।
দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নিজের জীবনকে হাসিমুখে উৎসর্গ করতে সদা প্রস্তুত সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সেনা সদস্যরা উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুত করে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দেশে এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
সম্প্রতি গৌরবময় এই বাহিনী ও সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মিথ্যা অপপ্রচারের সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেছে। একজন সেনা কর্মকর্তার মতে, কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও দলীয় একপেশে ক’জন সাংবাদিক বিদেশ থেকে বিভিন্ন প্রকার মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া তথ্য সম্বলিত গল্প এবং উচ্চপদস্থ সেনাকর্মকর্তাদের কথোপকথন সংগ্রহ করে। পরে তা আধুনিক প্রযুক্তির দ্বারা এডিট ও কাট-পেস্ট করে তাদের উদ্দেশ্য মাফিক বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করছে। যা উপস্থাপনের মাধ্যমে তারা সেনা সদস্য ও দেশের সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়ে ক্রমাগত দেশ এবং সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা লেঃ জেনারেল শফিকুর রহমান সম্পর্কে বিদেশে অবস্থানরত বিশেষ দলীয় পক্ষপাতদুষ্ট সাংবাদিক মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে।
সূত্র মতে, লেঃ জেনারেল শফিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সৎ এবং আদর্শবান কর্মকর্তা। তার সম্বন্ধে উপস্থাপিত তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। লেঃ জেনারেল শফিক সাভার DOHS-এ একটি প্লট বরাদ্দ পেলেও সরকারের নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে তা সমর্পণ করেছেন এবং প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করে একজন উর্ধতন সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে পূর্বাচল প্রকল্পে একটি প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন। তাছাড়াও তিনি অদ্যাবধি জলসিঁড়ি প্রকল্পে কোন প্লট গ্রহণ করেননি। লেঃ জেনারেল শফিক অত্যন্ত সুনাম, পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার সাথে সেনাবাহিনীতে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
এ মিথ্যা খবর পরিবেশনে দলীয় ও একপেশে হলুদ সাংবাদিক এবং সেনাবাহিনী হতে বহিষ্কৃত সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানা যায়।
