প্রায় ৮৬ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ১৬ জুন থেকে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। আপাতত যুক্তরাজ্যের লন্ডন ও কাতারে যাবে ফ্লাইট। তবে কাতারের ভেতরে যাত্রী ঢুকতে পারবেন না। অন্য দেশে যাওয়ার ট্রানজিট হিসেবে সেখানকার বিমানবন্দর ব্যবহার করবে কাতার এয়ারওয়েজ।


বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আপাতত যুক্তরাজ্যের লন্ডন ও কাতারে ফ্লাইট পরিচালনা করব। তবে কাতারে আমাদের যাত্রী প্রবেশ করবে না। অন্য দেশে যাওয়ার ট্রানজিট হিসেবে আমরা বিমানবন্দরটি ব্যবহার করব। এছাড়া চীন-যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের দেশগুলো ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশ বাংলাদেশিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। তাই সেসব দেশে আমরা ফ্লাইট চালু করতে পারছি না।’
তিনি বলেন, ‘তবে কাতার এয়ার ওয়েজকে যাত্রী বহনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তারা ইউরোপসহ যেসব গন্তব্যে বাংলাদেশিদের প্রবেশে বাধা নেই, সেসব দেশে তাদের নিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, চীন-যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের দেশগুলো ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশ বাংলাদেশিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। তাই সেসব দেশে আমরা ফ্লাইট চালু করতে পারছি না। তবে কাতার এয়ারওয়েজকে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তারা ইউরোপসহ যেসব গন্তব্যে বাংলাদেশিদের প্রবেশে বাধা নেই, সেসব দেশে যাত্রীদের নিয়ে যাবে।
পরে এ বিষয়ে বেবিচকের এক আদেশে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি ও বেবিচকের নীতিমালা অনুসরণ করে আগামী ১৬ জুন থেকে সীমিত পরিসরে আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল শুরু হবে। বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা-লন্ডন-ঢাকা রুটে যাত্রী পরিবহন করতে পারবে এবং কাতার এয়ারওয়েজ দোহা-ঢাকা-দোহা রুটে শুধু ট্রানজিট যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
ফলে বাংলাদেশ থেকে যাত্রীরা এখন চীন, যুক্তরাজ্য (লন্ডন) ও ইউরোপের অন্যান্য দেশে যেতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডন ও ম্যানচেস্টার রুটে দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ফ্লাইট দুটি পরিচালনা করে। তবে বেবিচক শুধু লন্ডন রুটে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি দেয়ায় এখনই ম্যানচেস্টার রুটে চলছে না ফ্লাইট।
এর আগে গত ২১ মার্চ প্রথমে ১০টি দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন। এরপর একের পর এক বিমান বন্ধের সময়সীমা বাড়ে। সর্বশেষ ২৮ মে বেবিচকের এক সিদ্ধান্তে ১ জুন থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল শুরু হয়। তবে ২৮ মের সিদ্ধান্তে ১৫ জুন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথম থেকেই চীনের বিমান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সেইসঙ্গে চালু রয়েছে চাটার্ড ফ্লাইটও।