বাড়ছে না ছুটি, সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ১৫ জুন পর্যন্ত

সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলবে। সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর আগামী ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বুধবার (২৭ মে) রাতে তিনি এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্বল্প যাত্রী নিয়ে, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে বাস, লঞ্চ ও রেল চলাচল করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মোটকথা স্বাস্থ্যবিধি মেনে, স্বল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলবে। গণপরিবহন চলাচলের বিষয়টি আমরা স্থানীয় প্রশাসন থেকে ঠিক করে দেব। গণপরিবহন চালালে তো ঠাসাঠাসি করে চালানো যাবে না। সামাজিক দূরত্ব মেনেই চালাতে হবে। অবশ্যই যাত্রীদের মাস্ক ও গ্লভস ব্যবহার করতে হবে। এগুলো নিশ্চিত করেই মালিকদের গণপরিবহন চলাচলের ব্যবস্থাটা করতে হবে।’

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যার দিকে এই নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন। সাধারণ ছুটি আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পর পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’ প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি রয়েছে। সেই সঙ্গে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ১৫ জুন পর্যন্ত

সাধারণ ছুটি না বাড়লেও মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে। বুধবার (২৭ মে) বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। কিন্তু অনলাইন বা ভার্চুয়াল ক্লাস চলবে।’

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রয়েছে। সাধারণ ছুটি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটিও বেড়েছে।

ছুটি আর বাড়ছে না

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে চলমান সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না। দীর্ঘ ৬৭ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ৩১ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধিসহ কিছু নিয়ম মানা সাপেক্ষে খুলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস।

বুধবার (২৭ মে) বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন দেয়া এ সংক্রান্ত ফাইল আমরা পেয়েছি। বৃহস্পতিবার নির্দেশনার প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারব বলে আশা করছি।’ তিনি জানান, বয়স্ক, অসুস্থ ও গর্ভবতী মহিলারা আপাতত অফিসে আসবেন না।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ছুটি ৩০ মে শেষ হচ্ছে। ছুটি আর বাড়ছে না। কিন্তু কিছু বিধি-নিষেধসহ নাগরিক জীবন সুরক্ষিত রেখে আমরা সীমিত আকারে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করতে যাচ্ছি। তবে সবকিছু একেবারে খুলে দেয়া হচ্ছে না। আমরা খুলতে যাচ্ছি তবে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে।’

‘আগামী ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত কঠোরভাবে বিধি-নিষেধ মেনে অফিস খোলা থাকবে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও চলবে। হাটবাজার, দোকান-পাট সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।’ সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো খুললেও মিটিং অনলাইনেই করতে হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না।’

এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাতায়াতের ব্যাপারে আগের মতোই কঠোরতা বজায় থাকবে জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘বরং এখন আরও বেশি থাকবে। মানুষ যাতে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যেতে না পারে সেক্ষেত্রে প্রত্যেকটি জেলার প্রবেশমুখে ও বহির্গমনের স্থানে চেকপোস্ট বসাতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আগের মতোই চালু থাকবে। সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত ও অনুষ্ঠান আয়োজন বন্ধ থাকবে।’