জাতীয় সংসদের এক সদস্য, তিন পুলিশ ও এক আনসার করোনায় আক্রান্ত

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন জাতীয় সংসদের এক সদস্য (এমপি)। দেশের প্রথম কোনো এমপি হিসেবে তিনি ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলেন। সরকারদলীয় ওই এমপি সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের ৪ নম্বর ভবনে থাকতেন। ওই ভবনটি লকডাউন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ মে) তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সংসদের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, সাবেক এই হুইপ গত মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) নিজ নির্বাচনী এলাকা থেকে রাজধানীতে আসেন। এরপর তার শরীরে জ্বর দেখা দেয়। তখন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) তার নমুনা পরীক্ষা করানো হয়। শুক্রবার বিকেল ৫টায় আইইডিসিআর থেকে রিপোর্ট পাঠানো হয়। সংসদের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘রিপোর্টে উত্তরাঞ্চলের ওই এমপির করোনা পজিটিভ এসেছে। তার আবাসস্থল ভবন লকডাউন করে দেয়া হয়েছে।’

এদিকে সংসদে দায়িত্বরত তিনজন পুলিশ ও একজন আনসার সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় সংসদ ভবনের বটতলায় পুলিশের জন্য তৈরি করা ছাউনিতে থাকতেন।তারা স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, হু্ইপ ছাড়াও সংসদের গেটে দায়িত্ব পালন করতেন। এজন্য সেখানে যাওয়া ভিআইপিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, ১ মে তাদের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এদের সংস্পর্শে আসা সবাইকে সংসদে অবস্থিত এমপিদের বিভিন্ন অফিসে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, করোনা আক্রান্ত ওই চারজনকে প্রথমে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সেখান থেকে সিদ্ধেশ্বরী স্কুল ও কলেজের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে হুইপ আতিকুর রহমান বলেন, ‘বটতলা পুলিশ রুমে মোট ৫১ জন থাকতেন। তাদের সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। স্পিকারের বাসায় ১২ জন ডিউটি করতেন। তাদেরকে সংসদের ৩নং ব্লকে রাখা হয়েছে। চারজন পুলিশ সদস্যকে এমপি হোস্টেলের ৬নং ব্লকে রাখা হয়েছে। অন্যদের ৪ নং ব্লকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা আছে।’

প্রসঙ্গত, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজনের প্রাণ কেড়েছে মহামারি করোনা ভাইরাস। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৭০ জনে। আক্রান্ত হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫৭১ জন। ফলে দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল আট হাজার ২৩৮ জনে।এদিকে, এখন পর্যন্ত দেশে ১৭৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৪ জন।