ত্রাণে সবজি দেয়ায় উপকৃত হচ্ছে গ্রহীতা আর ন্যায্যমূল্য পেয়ে খুশি কৃষক

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া দিনমজুর, হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রাণ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন রকমের সবজি। এতে সবজি বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় খুশি উপজেলার কৃষকরা।

এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসরাফিল আলম।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার কর্মহীন হয়ে পড়া দিনমজুর, হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষদের মাঝে সাংসদ ইসরাফিল আলম তার নিজস্ব অর্থায়নে মানবিক খাদ্য সহায়তা কেন্দ্র চালু করে প্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রী সরবরাহ বিতরণ করছেন। তিনি জনসমাগম না করে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে কর্মহীনদের বাড়িতে খাবার সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।

ফেইসবুক, হটলাইন, মোবাইল ফোনে কর্মহীনদের সন্ধান পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে খাবার সামগ্রী। চালের সঙ্গে দেয়া হচ্ছে বেগুন, করলা, পটল, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন সবজি। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের কারণে সবকিছু বন্ধ হওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের বিভিন্ন রকমের সবজি নষ্ট হচ্ছিলো।

সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে এই সবজিগুলো কিনে কর্মহীনদের মাঝে খাবার সামগ্রীর সঙ্গে বিতরণ করছেন। এতে বাজার বন্ধ থাকার পরেও সবজি বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় খুশি রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার কৃষকরা।

উপজেলার চকমনু গ্রামের কৃষক ময়নুল ইসলাম ও এবাদুল হক জানান, করোনার কারণে ক্ষেতের সবজি কেউ নিচ্ছে না। ক্ষেতের বেগুন, করলা, পটল, কাঁচামরিচ ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে। এমতাবস্থায় গত কয়েক দিন ধরে সংসদ সদস্য আমাদের জমি থেকে বিভিন্ন সবজি কিনছেন। তাই আমরা নায্যমূল্য পেয়ে অনেক খুশি এবং লোকসান থেকে রক্ষা পাচ্ছি। এছাড়া খুচরা বাজারেও দাম একটু বেড়েছে।

সাংসদ মো. ইসরাফিল আলম বলেন, আমি বর্তমানে কৃষকদের বাঁচানোর স্বার্থে ত্রাণ সামগ্রীতে থাকা খাবার পণ্যের তালিকায় কিছু সবজি যোগ করেছি। কারণ আমার নির্বাচনী এলাকায় চলতি মৌসুমে সবজির ব্যাপক ফলন হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে কৃষকরা সবজির নায্যমূল্য পাচ্ছেন না। তাই চাষিদের বিষয়টি মাথায় রেখে মানবিক খাদ্য সহায়তার তালিকায় কয়েকটি সবজি যুক্ত করেছি। এতে কৃষকরা একটু হলেও তাদের সবজির নায্যমূল্যটা পাবেন। কারণ কৃষক বাঁচলেই আমরা বাঁচবো।

তিনি আরও বলেন, সবার আগে প্রাধান্য দিতে হবে এই সব কৃষক ভাইদের। আমি যতদিন এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করবো ততদিন যত সবজি পাওয়া যাবে সেগুলো আমি কিনে নিয়ে ত্রাণ সামগ্রীতে দিবো। সারাদেশেই যদি আমরা যারা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছি তারা যদি তালিকায় এলাকাভেদে উৎপাদিত সবজিগুলো কৃষকদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে ত্রাণ সামগ্রীতে যোগ করি তাহলে কোনও কৃষক লোকসানে পড়বে না বলে আমি আশাবাদী।