ইয়েস বাংলাদেশ ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের করোনা কার্যক্রম

করোনাভাইরাস সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে স্বেচ্ছা শ্রমে যৌথভাবে কাজ করছে সামাজিক সংগঠন ‘ইয়েস বাংলাদেশ’ ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন। ইতিপূর্বে তারা আসুন-একদিন তাদের ঘরে রাখি উদ্যোগ নিয়ে কাজ করেছে শাহবাগ,পল্টন এলাকায়। পরে পর্যায়ক্রমে তেজগাঁও শিল্প এলাকা ও গাজীপুর জেলায় কাজ করেছে ইয়েস বাংলাদেশ ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সদস্যরা।

এমনই ধারাবাহিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে ইয়েস বাংলাদেশ ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সদস্যরা। জনসচেতনতা বৃদ্ধি, অসহায় মানুষকে  সাধ্যমত খাবার দেওয়া। ঢাকার বিভিন্ন এলাকাসহ জেলা পর্যা্যে গাজীপুর ও কুষ্টিয়ায় কাজ করছে। এই সময় অনেকেই কাজ করছে দেশের মানুষের জন্য। সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকেও কাজ করছে। ইয়েস বাংলাদেশ ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের তরুণ সংগঠকরা নিয়মিত কাজ করোনাভাইরাস সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠানো শুরু করেছে। আজ তারা কাওরান বাজার এলাকায় জীবাণুনাষক পাউডার মেশানো পানি ছিটিয়েছে এবং সার্ক ফোয়ারার সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে পাঁচ মিনিট অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

এই সময় কাওরান বাজার পুলিশ বক্সের ভিতরে জীবাণুনাষক ছিটিয়েছে। এই সংগঠকরা মনে করেন পুলিশ বাহিনী তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে,পরিবার পরিজন রেখে এই দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই সময় পুলিশ পোস্টে জীবাণুনাষক পাউডার মেশানো পানির বোতল দেয়া হয়। এই সকল কাজের সমন্বয়ক ইয়েস বাংলাদেশ ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সংগঠক জুবায়ের আলম বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে। এই কর্মসূচি বিভিন্ন জেলায় পালিত হবে। দেশের সকল সংগঠক ও সংগঠনের প্রতি আহ্বান আসুন- দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াই ও দুষ্কৃতীদের প্রতিহত করি। সকল কাজ সরকার একা করবে এটা ভাবার কোন যুক্তি নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আমাদের আহ্বান সকল দলকে সাথে নিয়ে এই দুর্যোগ মোকাবিলা করুন। ইয়েস বাংলাদেশ ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কাজ করে যাচ্ছে, ভবিষ্যতেও করে যাবে।

তারা কাজ করছেন করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে। ইয়েস বাংলাদেশের অন্যতম উদ্যোক্তা জুবায়ের আলমের নেতৃত্বে এই মহতী কাজে অংশ নেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন ও ইয়েস বাংলাদেশের এম এ হানিফ,এস এম  সুজন, তুষার আবদুল্লাহ, শাহজালাল আলিফ, রবিসহ আরো অনেকেই।