করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় গ্রামের মানুষকে গণজামায়াত হওয়া থেকে দূরে রাখতে নিজেরা সংঘবদ্ধ হয়েছে। এক হয়েছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিতে। জামালপুর জেলার শীতলকূর্শা গ্রামের ‘মানব কল্যাণ সেবা সংঘ’। বয়সে নবীন কিন্তু কর্মে প্রবীণ।এলাকার যেকোন সেবামূলক কাজে, সুবিধাবঞ্চিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, ঈদ-পূজা-পার্বণে আনন্দ খুশী বিতরণে নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করছে তারা। এবার তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে গ্রামের অসচেতন মানুষগুলোকে নিরাপদ রাখতে ।
তাদের সকলেই তরুণ বা যুবক, কেউ ছাত্র কেউ বা সদ্য চাকুরে। তাদের কোন ফান্ড নেই, নেই নির্দিষ্ট দাতা। তবে উদ্যমী মন নিয়ে এগিয়ে যায় সকলের সুখে দুঃখে। গ্রামের সামর্থ্যবান লোক, যার যার বন্ধু-বান্ধবসহ পরিচিত স্বজনদের সহযোগিতা নিয়ে জনকল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছে তারা। তারই ধারাবাহিকতায় এবার তারা যুদ্ধে নেমেছে ভয়াল করোনা’র থাবা থেকে নিজের গ্রামবাসীকে সুরক্ষিত রাখার।
ইতোমধ্যে তারা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও তা থেকে বাঁচার জনসচেতনতামূলক বেশ কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। যার প্রেক্ষিতে এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে, অভাবনীয় পরিবর্তন এসেছে মানুষদের মাঝে। সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা নিজেদের গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী গ্রাম ও এলাকায় তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে।
তাদের কার্যতালিকায় আছে- ১.সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মাইকিং করা। ২.করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও তা থেকে বাঁচার জনসচেতনতামূলক ব্যানার ও লিফলেট বিতরণ করা। ৩.এলাকার প্রতিটা মসজিদের অজুখানাতে সাবান ঝুলিয়ে দেয়া ও বারবার হাত ধুতে মানুষকে উৎসাহিত করা।
৪.অসহায় দুঃস্থ মানুষদের মাঝে সাবান, মাস্ক বিতরণ করা ও বারবার হাত ধুতে উৎসাহিত করা। ৫. খাবার ও জরুরী ওষুধ বিতরণ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান,আতঙ্কিত বা হতাশ না হয়ে সবাইকে সচেতন ও বাড়িতে থাকার এবং শিশুদের ঘরের বাইরে বের না হতে দিতে আহবান জানানো ইত্যাদি।
আজকের করোনাভাইরাসের দুর্যোগ মোকাবেলায় আবারও সকলকে নিয়ে আমরা প্রস্তুত আছি। মৃত্যু একদিন আসবেই,তবে তা যদি হয় অন্যের কল্যাণে আমার ধারণা তা কোনো সাধারণ মৃত্যু হবে না,হবে শহীদি মৃত্যু। আমরা তিন বেলা পেট পুরে খাবো আর দিনমজুর ভাই-বোন বাচ্চাদের নিয়ে না খেয়ে থাকবে,এটার নাম ভাল থাকা না। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা সফল হবো ইনশাআল্লাহ। আপনিও আপনার পরিবার-পরিজন,পাড়া-প্রতিবেশী সবাইকে সচেতন করুন এবং করোনা প্রতিরোধের করনীয়গুলো বুজিয়ে দিন।
————————————————————————————–