করোনাভাইরাসের কারণে আজ শনিবার রাত ১২টা থেকে ইংল্যান্ড, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই চলাচল বন্ধ থাকবে। সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এ কথা জানিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার করোনাভাইরাসের কারণে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। গত বৃহস্পতিবার আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরে ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দেয় বিমান করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে চার দেশ ও অঞ্চল বাদে সব আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। শনিবার (২১ মার্চ) রাত ১২টা থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এক বার্তায় জানায়, দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তাররোধে ২১ মার্চ দিনগত রাত ১২টা থেকে ৩১ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর এবং ভারত থেকে কোনো শিডিউলড্ আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক উড়োজাহাজকে কোনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার অনুমতি দেয়া হবে না। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
ঢাকা-হংকং রুটে ক্যাথে প্যাসিফিকের (ড্রাগন এয়ার) একটি ফ্লাইট এবং ঢাকা থেকে চীনের বিভিন্ন রুটে ইউএস-বাংলা, চায়না সাউদার্ন ও চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চলাচল করে। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার ই জামান বলেন, আমাদের নয় রুটে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল করে। করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে শনিবার রাত ১২টার পর থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নয়টি রুটের সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হচ্ছে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
তিনি জানান, নন কমার্শিয়াল ফ্লাইট শাহ আমানতে আসতে পারবে, চালু থাকবে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলও। এছাড়া গতকাল শুক্রবার (২০ মার্চ) ফ্লাই দুবাই ও এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইটে যাত্রী এসেছেন চট্টগ্রামে। আজও (শনিবার) এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইট যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম আসবে। এ ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশও বিভিন্ন ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। সবশেষ আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ওপর আংশিক এ নিষেধাজ্ঞা জারি হলো।