শিবচর লকডাউন: রাজশাহী থেকে বাস বন্ধ

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এই লকডাউন বলবৎ থাকবে। তবে ওষুধ, কাঁচামাল ও মুদি দোকান লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বিকেলে শিবচর লকডাউনের ঘোষণা দেয় উপজেলা প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবচরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান। বিকেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে শিবচর উপজেলার ওষুধ, কাঁচামাল ও মুদি দোকান বাদে সব দোকানপাট ও গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।

ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, যেহেতু শিবচর করোনার ঝুঁকিতে রয়েছে সেহেতু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ও ফার্মেসি খোলা থাকবে। বিশেষ করে বিদেশফেরত ব্যক্তিদের নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে হবে। যদি কেউ হোম কোয়ারেন্টাইন না মানে তাহলে শিবচর নন্দকুমার ইনস্টিটিউশনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু এলাকা আছে যেখানে বিদেশ ফেরত অনেক মানুষজন কোয়ারেন্টাইন মানছেন না, কিছু এলাকায় অনেক বেশি বিদেশ ফেরত মানুষ অবস্থান করছেন। এসব এলাকাও প্রয়োজনে লকডাউন করা হবে।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রয়োজনে লকডাউন করার কথা ভাবছে সরকার। এর আগে মাদারীপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, মাদারীপুরে ২১২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুজনকে ঢাকায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের নতুন ভবনে ১০০ শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। সদর হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দুটি কেবিনের চারটি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি করে বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) দেয়া তথ্যমতে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার।

এদিকে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রাজশাহী থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বিকেলে জরুরি সভা করে এ ঘোষণা দেয় জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন।

নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনালের কার্যালয়ে বৈঠক শেষে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহাতাব হোসেন চৌধুরী বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দূরপাল্লা রুটের সব বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন থেকে আর নতুন করে বাস ছেড়ে যাবে না। যে বাসগুলো রাস্তায় আছে সেগুলো আসার পর আর গন্তব্যে যাবে না। প্রয়োজনে আন্তঃজেলা রুটের বাস চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হবে। জনস্বার্থে সাময়িক এ অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এই পরিবহন শ্রমিক নেতা।