দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ: ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বুয়েটসহ ইতোমধ্যেই দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে বাংলাদেশের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (১৮ মার্চ) দিনের বিভিন্ন সময়ে এসব জেলার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত আসে। অন্যদিকে, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর, যাদুকাটা নদী, বারিক টিলা, শহীদ সিরাজলেক, টেকেরঘাট, শিমুলবাগানসহ সকল পর্যটন স্পটে পর্যটকদের ভ্রমণ ও যাতায়াত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশের সিনিয়র এএসপি জহিরুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল পর্যটকদের আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে বাড়ী ফিরে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া হোটেল মোটেলগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হোটেলে কক্ষ বুকিং না রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া আজ থেকে সৈকতের সকল দোকানপাট সরিয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসক জনাব মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে আমরা বন্ধ ঘোষণা করেছি। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা নিরপদে ঘরে থাকবে। সাথে সাথে তাদেরকে বলা হয়েছে বিনা কারণে বাইরে না যাওয়ার জন্য । যারা কুয়াকাটায় ভ্রমণ করতে আসতে চান তাদেরকে অনুরোধ করবো ঝুঁকিমুক্ত সময় নির্ধারণ করে বেড়াতে আসার জন্য।
২ এপ্রিল পর্যন্ত সব প্রত্নস্থল ও প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর বন্ধ: করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সব প্রত্নস্থল ও প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ হওয়ার কারণে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে আগামী ২ এপ্রিল পর্যন্ত পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্য দেশের সকল প্রত্নস্থল ও প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর বন্ধ ঘোষণা করা হলো। তবে দাফতরিক কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত থাকবে।
রাঙ্গামাটির সকল পর্যটনকেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধঃ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যখনই দেশের সব স্কুল-কলেজ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তখনই পর্যটন নগরী রাঙ্গামাটিতে আনাগোনা বেড়ে যায় পর্যটকদের। তাই এ ভাইরাস মোকাবিলায় এবং মানুষের অবাধ চলাফেরা বন্ধে রাঙ্গামাটির সকল পর্যটনকেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ।
সব ধরনের ভিসা বাতিল করেছে আরব আমিরাতঃ সব ধরনের এন্ট্রি ভিসা বাতিল করেছে আরব আমিরাত। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে আগামী দু’সপ্তাহ সব ধরনের এন্ট্রি ভিসা বন্ধ থাকবে। বৈধ ভিসাধারী ব্যক্তি যারা বর্তমানে আমিরাতের বাইরে রয়েছেন তারা কেউই এখন আমিরাতে প্রবেশ করতে পারবেন না। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট সাময়িক বন্ধঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তাররোধে সৌদি আরবে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দা সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) জেদ্দা কনস্যুলেট থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তাররোধের নিমিত্তে ও বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক বাতিলঃ করোনাভাইরাসের কারণে এবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি ঝাং জুন সংস্থাটির দু’টি চূড়ান্ত বৈঠক বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। চলতি সপ্তাহেই ওই বৈঠক দু’টি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার। কিন্তু করোনাভাইরাসের বিস্তার ছড়িয়ে পড়ায় বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সোমবার এক ঘোষণায় বৈঠক বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে বলে একটি কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
দুবাই-আবুধাবিগামী ফ্লাইট বন্ধ করল বিমান: করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির আবুধাবি ও দুবাই রুটে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) থেকে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। এক বার্তায় বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. মোকাব্বির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা রুটের ২৪টি ফ্লাইট বাতিল করল টার্কিশ এয়ারলাইনঃ ঢাকা রুটের ২৪টি ফ্লাইট বাতিল করলো তুরস্কের উড়োজাহাজ প্রতিষ্ঠান টার্কিশ এয়ারলাইন। এই ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল ছাড়াও ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশে যাত্রী পরিবহন করতো তারা। এক বার্তায় টার্কিশ এয়ারলাইন জানায়, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তারা তাদের মোট ২৪টি ফ্লাইট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা জানায়, টার্কিশ এয়ারলাইনের ঢাকা থেকে ইস্তাম্বুল রুটে (টিকে-৭১৩) মার্চের ২৩, ২৫, ২৭, ৩০ তারিখের ও এপ্রিলের ১, ৩, ৬, ৮, ১০, ১৪, ১৫ ও ১৭ তারিখের ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও ইস্তাম্বুল থেকে ঢাকা রুটের (টিকে-৭১২) মার্চের ২২, ২৪, ২৬, ২৯, ৩১ ও এপ্রিলের ২, ৫, ৭, ৯, ১২, ১৪, ১৬ তারিখের ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয়েছে। বিমান প্রতিষ্ঠানটি জানায়, যে সব যাত্রীর ৩১ মে ২০২০ সালের মধ্যে ভ্রমণের তারিখ ছিল তারা বিনামূল্যে টিকেটের তারিখ পরিবর্তন করতে পারবে। এছাড়াও টিকেট কেটেও যদি কেউ ভ্রমণ না করে বা আংশিক ভ্রমণ করে (ওয়ান ওয়ে), তাহলে তাদের বাকি অংশের টাকাও ফেরত দেয়া হবে।
সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধঃ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। দর্শনার্থী প্রবেশে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সকাল থেকে কোনো পাস ইস্যু করা হচ্ছে না। সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রাজিব দাস এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, সচিবালয়ে মিটিংয়ে আগত ব্যক্তি এবং সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
শ্রীমঙ্গলে সব হোটেল-রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণাঃ করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে দেশি-বিদেশি পর্যটনের আগমন নিরুৎসাহিত করতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব হোটেল-রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে বিদেশফেরত অধিবাসীসহ দেশি-বিদেশি পর্যটকের সংখ্যাকে নিয়ন্ত্রিত করা সম্ভব হবে। বুধবার (১৮ মার্চ) শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসনের অধিকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
কক্সবাজার সৈকত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাঃ বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় আতংক বেড়েছে বাংলাদেশেও। এরইমধ্যে দেশে আক্রান্ত হয়েছে ১৪ জন। মারা গেছেন একজন। এ পরিস্থিতিতে পর্যটন শহর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। বুধবার (১৮ মার্চ) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফখরুল ইসলাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের আমরা এ বিষয়ে অবহিত করছি। জনস্বার্থে সরকারের পক্ষ থেকে এ সিদ্বান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ সিদ্বান্ত বলবৎ থাকবে।
খুলনার বাণিজ্যমেলা বন্ধ ঘোষণাঃ বন্ধ করে দেওয়া হল খুলনা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মাথায় সোমবার (১৬ মার্চ) রাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে মেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মোহাম্মদ মাসুকুর রহমান সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাণিজ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত খুলনার বাণিজ্যমেলা বন্ধ থাকবে।
বন্ধ হল এশিয়ান ডেভেলাপমেন্ট ব্যাংকঃ করোনা ভাইরাসে (কভিড-১৯) আতঙ্কে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অবস্থিত এশিয়ান ডেভেলাপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) প্রধান কার্যালয়। শুধু এডিবির প্রধার কার্যালয় নয়, ফিলিপাইনের সিনেটও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দুই ভবনেই আসা দর্শণার্থীর শরীরে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এডিবির কর্মীদের ঘরে থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে। ব্যাংকের কার্যালয় ভালো করে পরিষ্কার করা হয়েছে এবং সংক্রমণ মুক্ত করা হয়েছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমাদের কর্মী ও ব্যাংকের গ্রাহক এবং তাদের পরিবারের নিরাপত্তা আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের যেসব কর্মী গ্রাহকদের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাদের আমরা সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবো যাতে করে তারা ঘরে থেকেই কাজ করতে পারে।
ব্র্যাকের হেড অফিসের কাজ বাসা থেকেঃ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে জনসচেনতা সৃষ্টির পরিকল্পনার পাশাপাশি সংক্রমণ রোধে সতকর্তা হিসেবে সদর দপ্তরের কাজ বাসা থেকে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল। রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাকের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় প্রস্তুতি তুলে ধরেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ। তিনি বলেন, হেড অফিসে কার্যক্রম এই শুক্রবার থেকে আমরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করে দিচ্ছি। ব্র্যাকে হেড অফিসে ২ হাজারের মতো কর্মী আছে। তারা বাসা থেকে কাজ করবেন।
আগামী সপ্তাহে আমরা ইভালুয়েট করব, কত দিন এটা কন্টিনিউ করব। আসিফ সালেহ বলেন, ফিল্ড অফিসে আগামী সপ্তাহে অপারেশন ছোট করে দেব। আমাদের ৪৫ হাজার কর্মী কার্টেইলড অবস্থায় কাজ করবে, তারা যা কাজ করবে তা কভিড-১৯ মোকাবিলায়, তারা কমিউটিনিটি সেনসিটাইজেশনে কাজ করবে। ঠান্ডা জ্বর, সর্দি-কাশিসহ করোনা ভাইরাসের কারণে হোম কোয়ারিন্টনে থাকতে সরকারের পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, তা যেন যথাযথভাবে পালন করা হয়, তাতে ব্র্যাক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি জানান প্রধান কার্যালয়ের বাইরে ব্রাকের শাখা অফিসে ৪৫ হাজার কর্মী রয়েছে; এর বাইরে সারা দেশে ৫০ হাজারের মতো স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে ব্র্যাকের।
বাসা থেকে কাজ করবেন জিপি বাংলালিংক রবির কর্মীরাঃ করোনা ভাইরাসে সতর্কতামূলক পদক্ষেপে কর্মীদের বাসা হতে কাজ করতে বলেছে গ্রামীণফোন বাংলালিংক ও রবি। সোমবার এ নির্দেশনা জারি করেছে অপারেটর তিনটি। এতে গ্রামীণফোন পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত আর বাংলালিংক দুই সপ্তাহ পর্যন্ত কর্মীদের হোম অফিস দিয়েছে। রবিও পরবর্তী নির্দেশনা না পর্যন্ত কর্মীদের হোম অফিসে উৎসাহিত করছে । রবির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম জানান, রবি অনেক আগে থেকেই কর্মীদের সুবিধার জন্য ‘হোম অফিস’ সুবিধা দিয়ে আসছে। করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্মীদের আরও বেশি করে এ সুবিধা গ্রহণে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ‘ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে গ্রাহককেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যে সব সেবা প্রদানে কর্মীদের শারীরিক উপস্থিতির প্রয়োজন রয়েছে, সে সব ক্ষেত্রে সব ধরনের সতর্কতা নিশ্চিত করেই সেবা প্রদান করতে বলা হয়েছে’ বলছিলেন তিনি।
গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসান জানান, গ্রামীণফোন কর্মীদের বাসা হতে কাজ করতে বলা হয়েছে। করোনা সতর্কতায় এই পদক্ষেপ। ‘তবে যেসব ক্ষেত্রে গ্রাহককে সরাসরি জরুরি সেবা দিতে হবে সেখানে কর্মীরা বিশেষভাবে কাজ করবেন। এ ক্ষেত্রেও যথাসম্ভব সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে তারপর সেবা দিতে বলা হয়েছে। ডিজিটালের মাধ্যমে সেবা দিতে উৎসাহিত করা হয়েছে’ বলছিলেন তিনি।
বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান জানান, কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব দেয় বাংলালিংক। করোনা ভাইরাস ইস্যুতে সতর্কতায় কর্মীদের দুই সপ্তাহ পর্যন্ত হোম অফিস করতে বলা হয়েছে।
‘যদিও এর মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন মানসম্মত গ্রাহক সেবা চলমান রাখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীরা কাজ করে যাবেন। সেখানে কর্মীদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হয়েছে’ জানান তিনি। গ্রামীণফোনে ২৩০০, রবির ১৩৫০ এবং বাংলালিংকের প্রায় ১১০০ কর্মী রয়েছেন।
বাংলা ট্রিবিউন, ঢাকা ট্রিবিউন ও বার্তা ২৪ কর্মীরা বাসা থেকেই কাজ করবেনঃ করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে এই তিনটি সংবাদ সংস্থা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।বাংলা ট্রিবিউনের চিফ রিপোর্টার উদিসা ইমন ফেসবুক পোস্টে লিখেন, বাংলা ট্রিবিউনের কর্মীরা আগামীকাল থেকে বাসায় থেকে কাজ করবেন। অন্যরাও এগিয়ে আসবেন আশা করি। বার্তা ২৪ ডটকম-এর স্টাফ রিপোর্টার রেজাউল করিম ফেসবুকে জানান, প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকেই কাজ করবেন। ঢাকা ট্রিবিউনের কর্মী হাসান জাবেদ ফেসবুকে জানান, প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগ কর্মী যার যার বাসা থেকেই দাপ্তরিক কাজ করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সচিবালয়ে সব ধরনের সভা–সেমিনার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হচ্ছেঃ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন এক কর্মকর্তা আমাদের সময়ডটকমকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। আজকের মধ্যে এ আদেশ জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় কোন মন্ত্রী বা সচিব স্বল্প পরিসরে সভা করতে পারবে।