বাংলা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক চলমান পরিস্থিতি, প্রত্যাশা ও প্রতিশ্রুতি’ শীর্ষক সেমিনার

গতকাল বিকাল ৩টায় ঢাকার সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক চলমান পরিস্থিতি, প্রত্যাশা ও প্রতিশ্রুতি’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোটের বিশিষ্ট এডভোকেট ও বাংলা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী আবু হেনা রাজ্জাকী উক্ত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর আবুল কাশেম জফলুল হক উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিগনের মধ্যে থেকে আলোচক হিসাবে অংশ গ্রহন করেন ম. ইনামুল হক, প্রফেসর সাহাব এনাম খান ও এটিএন বাংলা কারেন্ট এফেয়ার্স এডিটর কেরামত উল্লাহ বিপ্লব এবং ভারতের প্রফেসর বিমল শংকর নন্দা ও ডক্টর নম্রতা কোঠারী।

এডভোকেট আবু হেনা রাজ্জাকী, তার মূল প্রবন্ধে প্রতিবেশী ভারতের কাশ্মীর ইস্যু, সীমান্ত হত্যা এবং এনআরসি-সিএএ বর্তমান যে পরিস্থিতি চলমান তার উপর আলোকপাত করেন।

  • Save

কাশ্মীর প্রসঙ্গে রাজ্জাকী বলেন, কাশ্মীর ইস্যুকে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয় হলেও বাংলাদেশ এক্ষেত্রে কোন ভাবেই প্রাসঙ্গিক নয়। পক্ষান্তরে কাশ্মিরের বিষয় নিয়ে ইসলামাবাদের জন্য দিল্লি এবং দিল্লীর জন্য ইসলামাবাদে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার দরজা খোলা আছে। ভারত এবং পাকিস্তান, তাদের এই সমস্যা কিভাবে সমাধান করবে এটা তারই নির্ধারণ করবে। তাদের এই সমস্যা ইসলামাবাদ ও দিল্লীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকুক। কাশ্মীর ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রাসঙ্গিক না হলেও নিরপেক্ষভাবে একটা কথা বলতে চাই যে, কাশ্মীর ইস্যু ভারতের আভ্যন্তরীন ইস্যু হলেও কোন ভাবেই যেন সেখানে মানবাধিকার লংঘিত না হয় সে দিকে ভারত সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে। সামান্ত হত্যা প্রসঙ্গে রাজ্জাকী বলেন, সীমান্তে বিএসএফ এর হাতে বাংলাদেশী হত্যা কমাতে হলে রাজনৈতিক উদ্যোগ নিয়ন্ত্রন দরকার। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী সদিচ্ছা প্রদর্শন করতে হবে প্রতিবেশী দেশের। অন্যথায় সীমান্ত হত্যা কমানো সম্ভব নয়।

এনআরসি-সিএএ প্রসঙ্গে রাজ্জাকী তার মূল প্রবন্ধে বলেন, এনআরসি এবং সিএএ একান্তই ভারতের আভ্যন্তরীন বিষয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসে ভারতের বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব বলে গেছেন যে এনআরসি এবং সিএএ-ও কোন প্রভাব বাংলাদেশের উপর পরবে না কারন এটা একান্তই ভারতের আভ্যন্তরীন বিষয় এবং এই মর্মে ভারত সরকারের উচ্চ পর্যায়ে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতিরও প্রত্যাশা করেন আবু হেনী রাজ্জাকী।