বদলে গেলো চুক্তির ধরণ: বেতন বাড়লো শুধু জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের

সাদ্দাম হোসেন নয়ন: বেতন বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে গত অক্টোবরে একসাথে ধর্মঘট ডেকেছিল দেশের সকল ক্রিকেটাররা। ধর্মঘটের সময় ক্রিকেটারদের অন্যতম দাবি ছিল বেতন বৃদ্ধি। ওই সময় আশ্বাস দিলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড শেষ পর্যন্ত বেতন বাড়ায়নি। তবে প্রথমবারের মতো ফরম্যাট ভেদে আলাদা গ্রেডিং ব্যবস্থা চালু করায় ঠিকই বেতন বেড়ে গেছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের।

  • Save

২০২০ সালের নতুন চুক্তি অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা বেতন পেতে যাচ্ছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। এর মধ্যে ওয়ানডে ফরম্যাটে অধিনায়কত্বের সম্মানী ৩০ হাজার টাকা। সব ফরম্যাটে বেশি ম্যাচ খেলার বিবেচনায় মুশফিকুর রহিম পাবেন ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা । বিসিবির নতুন চুক্তিতে তামিম-মুশফিকই কেবল টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ সব ফরম্যাটের জন্য এ+ ক্যাটাগরিতে আছেন। এ+ ক্যাটাগরিতে আছেন টি-২০ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকারও। তবে এ দু’জন কেবল সাদা বলের (ওয়ানডে ও টি-২০) চুক্তিতে থাকায় বেতন পাবেন ৪ লাখ করে। ২০১৭ সাল থেকে এ+ ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা মাসে ৪ লাখ করেই পাচ্ছেন।

এ ছাড়া ‘এ’ শ্রেণির ক্রিকেটাররা ৩ লাখ, ‘বি’ শ্রেণি ২ লাখ, ‘সি’ শ্রেণি ১ লাখ ৫০ হাজার এবং ‘ডি’ শ্রেণির ক্রিকেটাররা ১ লাখ করে পেয়ে থাকেন। তবে লাল বল (টেস্ট) ও সাদা বলের চুক্তি আলাদাভাবে করায় সব ফরম্যাটে খেলা ক্রিকেটাররা আর্থিক সুবিধা পাবেন। অবশ্য লাল ও সাদা বলের উভয় চুক্তিতে যারা এ+ ক্যাটাগরিতে আছেন, তারা ৪ লাখ করে আট লাখ পাচ্ছেন না।

নিয়ম অনুযায়ী যারা সব ফরম্যাটে আছেন, তারা দুই চুক্তির যেটিতে অপেক্ষাকৃত ওপরের শ্রেণিতে আছেন, সেটির পুরো বেতন এবং অপরটির অর্ধেক বেতন পাবেন। দুই চুক্তিতে একই শ্রেণিতে থাকলেও বেতন হবে এক চুক্তির সম্পূর্ণ অংশ, আর অন্যটির অর্ধেক। নতুন চুক্তিতে তামিম এবং মুশফিক আছেন লাল ও সাদা দুই বলের চুক্তিতে। টাকার অঙ্কে তাদের বেতন আট লাখ দাঁড়ালেও লাল বলের চুক্তিতে চার লাখের সঙ্গে সাদা বল থেকে পাবেন ২ লাখ, মোট ৬ লাখ।

চুক্তিতে ক্রিকেটারদের গ্রেডিং করা হয়েছে মূলত বেশি ম্যাচ খেলার ভিত্তিতে। যে কারণে প্রথমবারের মতো ‘এ+’ ক্যাটাগরিতে জায়গা পেয়েছেন সৌম্য সরকার। সাদা বলের চুক্তিতে সৌম্যের সঙ্গে আছেন টি২০ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহও। বাংলাদেশের টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক আছেন কেবল লাল বলের চুক্তিতে, গ্রেডিংয়ে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে। উভয় চুক্তির মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড় এই একজনই। বাকি যারা আছেন সবাই ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’-তে। এর মধ্যে উভয় চুক্তিতে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে আছেন লিটন কুমার দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তারা মাসিক বেতন পাবেন ৩ লাখ টাকা করে। তিন দিন আগে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করে গতকালই খেলোয়াড়দের গ্রেডিংয়ের কাঠামো প্রকাশ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

দেশের সব ক্রিকেটপ্রেমী এবং ক্রিকেটাররা আশা করেছিলো জাতিয় লিগের ক্রিকেটারদের বেতন কাঠামো ঢেলে সাজানো হবে পাশের দেশ ইন্দিয়ার মত কিন্তু বিসিবি শুধু জাতিয় দলের বেতন কাঠামো পরিবর্তন করে তাদের আগের অবস্থানেই অনর থাকলো যা দেশের ক্রিকেট জন্য ভাল কিছু বয়ে আনবে না এটাই বাস্তব