ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানটা যথেষ্টই মনে হয়েছিল প্রথম ইনিংসের পর। উগান্ডার ব্যাটিংয়ের পর সেটি তো প্রমাণিত হয়েছেই, বরং বড় জয়ে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকার স্বস্তি পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সঙ্গে তারা গড়েছে অনেকগুলো রেকর্ডও।
রোববার (৯ জুন) প্রভিডেন্সে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ ‘সি’ এর ম্যাচে ১৩৪ রানের বড় জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করে স্বাগতিকরা। ওই রান তাড়া করতে গিয়ে ১২ ওভারে মাত্র ৩৯ রানে অলআউট হয়ে গেছে উগান্ডা।
এটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যৌথভাবে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। এর আগে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সমান রানে অলআউট হয়েছিল নেদারল্যান্ডস।
অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রানের ব্যবধানে এটি দ্বিতীয় বড় জয়। প্রথমটি ২০০৭ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার ১৭২ রানের জয়।
এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজ অধিনায়ক পাওয়েল। ব্যাটিংয়ে নেমে ব্র্যান্ডন কিং ও জনসন চার্লস উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান তোলেন। কিং ১৩ রানে আউট হন। চার্লসের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৪৪। এরপর নিকোলাস পুরান, পাওয়েল, শেরফেন রাদারফোর্ড ও আন্দ্রে রাসেলরা ঝড়ো ব্যাট করলেও কেউই স্কোর বড় করতে পারেননি। রাসেল ১৭ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন।
উগান্ডার বোলারদের মধ্যে ব্রায়ান মাসাবা সর্বোচ্চ ২টি উইকেট লাভ করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নামা উগান্ডাকে নিয়ে মূলত ছেলেখেলা করেছেন স্পিনার আকিল হোসেন। বাঁহাতি এই স্পিনার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথমবার পেয়েছেন ৫ উইকেট। ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো বোলারের প্রথম পাঁচ উইকেট।
উগান্ডার হয়ে একমাত্র ব্যাটার হিসেবে জুমা মিয়াগি (১৩) দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে পারেন। এছাড়া আলজারি জোসেফ ২টি উইকেট পান।
উল্লেখ্য, এই গ্রুপ থেকে ২ ম্যাচের ২টিতে জিতে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সমান জয়ে রানরেটে এগিয়ে শীর্ষে আফগানিস্তান।