ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানে গতকাল প্রকাশিত নিবন্ধের ও বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহর সঙ্গে বলা কথার সমন্বয়ে এই লেখা:
০১. সতর্ক থাকলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া সহজ নয়। ১৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে আক্রান্তের শারীরিক সংস্পর্শে আসলে বা আক্রান্তের কফ-থুতু গায়ে লাগলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে রাস্তায় ক্রস করতে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার কোনোও আশঙ্কাই নেই।
০২. কেবল ঘন ঘন হাত ধোয়ার মতো সহজ উপায়েই এই ভাইরাস মেরে ফেলা সম্ভব।
০৩. বেশিরভাগ ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস আক্রান্তের শারিরীক অসুবিধা সামান্য। স্বাভাবিক জ্বর-সর্দির মতো।
০৪. আক্রান্তদের আড়াই শতাংশের কম মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকতে পারে। যদি তারা বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা বা অন্যান্য বড় রোগে আগে থেকেই আক্রান্ত থাকেন।
০৫. সুস্থ-সবল মানুষের আক্রান্ত বা ‘সংকটাপন্ন’ হওয়ার হার একেবারে কম।
০৬. এই ভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত যেমন হচ্ছে, তেমনই সেরেও উঠছে প্রতিদিন।
০৭. মনে রাখা যেতে পারে- এই ভাইরাসের উৎস, প্রকৃতি ও সংক্রমণের ধরন সাত দিনের মাথায় শনাক্ত হয়েছিল। যেখানে এইচআইভি এইডসের ক্ষেত্রে সময় লেগেছিল দুই বছর। প্রতিষেধক টিকা উদ্ভাবনের কাজও অনেকদূর এগিয়েছে।
০৮. ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা সম্ভব।
০৯. কর্তৃপক্ষ সঠিক পদক্ষেপ নিলে এই ভাইরাসের বিস্তার ভৌগোলিকভাবেই আটকানো সম্ভব।
কথাগুলো ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানে গতকাল প্রকাশিত নিবন্ধের। আগ্রহীরা বিস্তারিত পড়তে পারেন এখানে:https://www.theguardian.com/world/2020/mar/07/coronavirus-reasons-to-be-reassured?fbclid=IwAR22x-2_vZhMSKg6hHG-gErTwLPxvX9c6fo9jCxHaTxaiJNOwf5BKYmYswc
নিজের অথবা পরিবারের কারো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে” ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলোজি ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ” আইইডিসিআরে যোগাযোগ করুনঃ
IEEDCR Hotline
+8801937000011
+8801937110011
+8801927711784
+8801927711785
দেশে করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ার পর কথা হয় বাংলাদেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহর সঙ্গে।
সতর্কতা বিষয়ে তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘কেউ আতঙ্কিত হবেন না। ভয় পাবেন না। যাদেরকে শনাক্ত করা হয়েছে তাদের অবস্থা ভালো আছে। তারা নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
* চিকিৎসায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠেন।
* এই রোগের সবচেয়ে বড় প্রতিকার হচ্ছে সতর্ক থাকা। সতর্কতা বিষয়ে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে সেগুলো সাধ্যমত মেনে চলার চেষ্টা করুন।
* করমর্দন থেকে বিরত থাকবেন। নিয়মিত ভালোভাবে হাত ধুতে হবে।
* খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খাবেন।
* সম্ভব হলে গণপরিবহন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। যতোটা সম্ভব জনসমাগম আপাতত এড়িয়ে চলতে হবে।
* পারত পক্ষে ঘরে থাকুন। প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে যাবেন না।
* সাথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখুন।
*. সবসময় গরম পানি পান করুন। নো ঠান্ডা পানি! ঠান্ডা পানি করনা ভাইরাসকে ইনসপায়ার করে।
*. নো হ্যান্ডসেক, কোলাকুলি।
*. সাবান দিয়ে বেশি বেশি হাত মুখ ধৌত করুন।
*. ঘরে ঢোকার সাথে সাথে হাতে আগুনের তাপ নিন।
*. আগামী ১ মাস খুব কম এবং নির্দিষ্ট পরিমান কাপর চোপর ব্যবহার করুন। গরম পানি ও জীবাণু নাশক ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপরগুলো ধুয়ে অন্তত ২ ঘন্টা রোদে দিন।
*. আগামী ১ মাস জনসমাগম বা ভিড় এড়িয়ে চলুন।
সাবধানতা অবলম্বন করা বিপদ এড়িয়ে চলার প্রধান অস্ত্র। সবাই সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন, নিরাপদে থাকুন।